নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে অনেকটা ইতিহাস পাল্টেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র তিন মাস হলো। এরই মধ্যে পূর্বসূরি বরিস জনসনের মতো বিতর্ক আর সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না তার।
ব্রিটেনের রাজনীতিতে খুব দ্রুতই উত্থান হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের। তবে কনজারভেটিভ দলীয় নেতা ও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি।
গাড়িতে সিটবেল্ট না পরার জন্য ক্ষমা চেয়েও পার পাননি সুনাক। গুনতে হয়েছে আর্থিক জরিমানা। অন্যদিকে দলীয় চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা নাদিম জাহাবির কর সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও আছেন চাপের মুখে। বিষয়টি পূর্ণ তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন সুনাক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিতর্ক আর চ্যালেঞ্জের ধকল সামলাতে গিয়ে ব্যক্তিগত ও দলীয় জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ঋষি সুনাক।
যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার পাশাপাশি বাড়ছে মন্দার শঙ্কা। শীত মৌসুমে জ্বালানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ নিয়েও বিপাকে কনজারভেটিভ সরকার। ফলে সুনাক পূর্ণ মেয়াদে সরকারপ্রধান হিসেবে থাকতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
ঋষি সুনাকের সমালোচনা করে বিরোধীরা বলছেন, যিনি সিটবেল্ট পরতেই জানেন না, তিনি কীভাবে ব্রিটেনের মতো একটি দেশ চালাবেন।
এদিকে সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নিজ আসনে হেরে যেতে পারেন। ফোকালডেটা পোলিং এজেন্সি নামে একটি জরিপ সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, শুধু ঋষি নন, নিজ নিজ আসনে হেরে যেতে পারেন তার মন্ত্রিসভার ১৫ জন মন্ত্রী।
ফোকালডেটা পোলিং এজেন্সির তথ্যানুযায়ী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, বাণিজ্যমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস, হাউস অব কমন্স নেতা পেনি মর্ডান্ট এবং পরিবেশমন্ত্রী সচিব থেরেসি কফি তাদের আসন হারাতে পারেন।
ফোকালডেটা আরও জানিয়েছে, মাত্র পাঁচজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী–জেরেমি হান্ট, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান, মাইকেল গোভ, নাদিম জাওয়াই ও কেমি ব্যাডেনোচ ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিততে পারেন। এ ছাড়া বেলওয়েদারের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আসনের সব কটিই লেবার পার্টি পাবে বলে জরিপে উঠে এসেছে।