ব্রাজিল তারকা ফুটবলার দানি আলভেসের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে একের পর এক রহস্য সামনে আসছে। এবার আদালতে দেয়া আলভেসের এক জবানবন্দিতে নিজেই ফেঁসে যাওয়ার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। তাতে বাধ্য হয়ে মুখ খুলতে হয়েছে এই ডিফেন্ডারকে। খবর স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা।
গত বছরের ডিসেম্বরে শাশুড়ির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে আলভেস মেক্সিকো থেকে স্পেনের বার্সেলোনায় যান। সেখানে অবস্থানকালে ৩০ ডিসেম্বর একটি নাইট ক্লাবে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আলভেসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০ জানুয়ারি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলভেসকে গ্রেফতার করে বার্সেলোনা পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মার্কার খবরে বলা হয়, আদালতে জজের সামনে ভিন্ন কথা বলে ফেঁসে যান ব্রাজিল ফুটবলার। ভুক্তভোগী নারী জবানবন্দিতে বলেন, তিনি আলভেসের পেটে চাঁদ আকৃতির একটি ট্যাটু দেখেছেন। এর আগে আলভেস নিজের জবানবন্দিতে বলেছিলেন, ওই সময়ে তিনি বসে টয়লেটে বসে ছিলেন। তখন জজ বলেন, পেটের যে অংশে ট্যাটু রয়েছে, সেটি বসা অবস্থায় দেখা সম্ভব নয়।
জজের যুক্তিখণ্ডন দেখে আলভেস কথা পাল্টে বলেন, আমি যখন দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন মেয়েটি আমার ট্যাটু দেখেছে। তখন জজ বলেন, সেটি তখন জামার নিচে ঢেকে থাকার কথা। অবস্থা বেগতিক দেখে আলভেস বলেন, বাথরুমে যা হয়েছে দুজনের সম্মতিতে হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়টি অস্বীকার করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
আলভেসের এমন কথা শুনে যে কারও বিব্রত হওয়ারই কথা। বাস্তবেও সেটিই ঘটে। আলভেসের বলা কথাগুলো শুনে জজ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে গত ২০ জানুয়ারি যে কারাগারে এই তারকাকে রাখা হয়েছিল, এবার পরিবর্তন করে তাকে অন্য কারাগারে নেয়া হয়েছে। তাতে তিনদিন পরে নতুন কারাগারে স্থান হলো এই ফুটবলারের।