অতিথি পাখিদের জন্য জম্মু-কাশ্মীরের ডাল লেকে অতিথিশালা বা রিসোর্ট তৈরি করেছেন মোহাম্মদ ইয়াসিন নামে এক যুবক। নাম দিয়েছেন বার্ডস ফরেস্ট রিসোর্ট। শীত মৌসুমে পর্যটকদের ভিড় সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক পাখি আশ্রয় নিয়েছে ইয়াসিনের রিসোর্টে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইয়নের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবছর শীতের সময় ভারতের উপকূলীয় অঞ্চল ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আসে কাশ্মীরে। জম্মু-কাশ্মীরের ডাল লেক এসব অথিতি পাখিদের অন্যতম আশ্রয়স্থল। অতিথি পাখিদের স্বাগত জানাতেই মোহাম্মদ ইয়াসিনের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
ইয়াসিন জানান, প্রতিবছরই বিপুল সংখ্যক অতিথি পাখি ডাল লেকে আসে খাবার এবং উষ্ণতার সন্ধানে। চলতি শীত মৌসুমে কাশ্মীর উপত্যকায় শীতের তীব্রতা বিবেচনা করেই ইয়াসিন সিদ্ধান্ত নেন পাখিদের জন্য একটি ফরেস্ট রিসোর্ট তৈরি করার। পাখিদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এমন রিসোর্ট তৈরির উদ্যোগ তার।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ইয়াসিন বলেন, ‘আমি যখন দেশের বাইরে ছিলাম তখন দেখেছি, মানুষ পাখিদের নিয়মিতই খাওয়ায়। সেটি দেখেই আমি পাখিদের জন্য ডাল লেকে রিসোর্ট তৈরির উৎসাহ পাই।’ শীত মৌসুমের জন্য ডাল লেকে পাখিদের রিসোর্ট তৈরি করলেও ইয়াসিনের অধিকাংশ সময় কাটে রাজস্থান এবং দিল্লিতে।
পেশায় ট্যুর অপারেটর ইয়াসিন বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরে আমি বেশ কয়েকটি দেশে গিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং ইউক্রেন। এসব দেশে ভ্রমণের সময় আমি বেশ কয়েক প্রজাতির পাখি দেখেছি। দেখেছি স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত পাখিদের খাবার দিচ্ছেন। মূলত এ বিষয়টিই আমাকে ডাল লেকে একটি রিসোর্ট তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করে।’
ডাল লেকেই একটি হাউসবোটে বসবাস করা ইয়াসিন জানান, তিনি প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পাখিদের খেতে দেন। খাবারের জন্য প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পাখি তার হাউসবোটের সামনে উপস্থিত হয়।