মু.ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ।।
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মেহেদী হাসান শিশির পাঠানকে জড়িয়ে অপপ্রচার ও হয়রানির প্রতিবাদে রেনু পারভীন নামে একজন ভুক্তভুগী পরিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা শহরের একটি কার্যালয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, গত ৪ঠা জানুয়ারি রেনু পারভীন, স্বামী – মুসলিম উদ্দিন, গত ২০১২ সালে শাহাদাত নামে একজনের কাছ থেকে ৩.৫ শতাংশ জমি সহ আধা – পাকা ভবনসহ ক্রয় করে। তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ সর্দার বাড়ির কামাল হোসেন ভাড়াটিয়াদের কে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে জোর করে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। পরে রেনু ভবন অভিযুক্ত কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী লাভলী আক্তারের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় অভিযোগ করি। থানায় দুপক্ষের বৈঠকেও কামাল হোসেন কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
রেনু বেগম আরো বলেন, আমি পৌরসভার ট্যাক্স, বিদ্যূৎ বিল সহ আনুসাঙ্গিক আমরাই প্রদান করি। থানায় বসার পরেও গত ৪ঠা জানুয়ারি সকাল ১১টায় কামাল ও তার স্ত্রী জায়গা দখল করার চেষ্টা করলে আমরা ৯৯৯ নাম্বারে কল করে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মেহেদী হাসান শিশির পাঠানকে জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শিশির পাঠান বলেন, এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে যে কেউ আমাকে যে কোন বিষয়ে অবহিত করবে এটিই স্বাভাবিক। মূলত সর্দার বাড়ির কামাল আমার সাথে নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর থেকে হিংস্র আচারন করছে। এই ঘটনাটিও স্রেফ একই ঘটনা। আমি ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করি। এই ঘটনার সাথে আমার অবহিত ছাড়া কোন বিষয়ই জড়িত নয়। নিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এটি স্রেফ অপপ্রচার ও আমার জনপ্রিয়তায়কে হেয় করার জন্য মূলত এসব হয়রানি করছে। জমিসংক্রান্ত একাধিক মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত কামাল হোসেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযোগ আসছে। আমি পৌরসভার মেয়রের কাছে দারস্ত হতে বলেছি।