যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে ক্যালিফোর্নিয়ায় নির্মাণ করা হয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হবে এই শহীদ মিনার।
ক্যালিফোর্নিয়ার পেরিস শহরে এ বছরের মহান ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে নতুন নির্মিত স্থায়ী শহীদ মিনারে। এ বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বাঙালির বড় বিজয় হিসেবে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুধু তাই নয়, একে বাঙালি ও বাংলাদেশের জন্য মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি বলেও মনে করেন অনেকে।
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত শহর পেরিস। সেখানকার ১০ প্রবাসী বাংলাদেশির হাল না ছাড়া প্রচেষ্টা ও স্থানীয় মেয়র ও কাউন্সিলম্যানদের সহায়তায় অবশেষে দৃশ্যমান হয়েছে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার।
২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে ইনক’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে পেরিস সিটি মেয়র মাইকেল এম ভার্গাস বরাবর স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরির আবেদন করেন ওই ১০ বাংলাদেশি। দীর্ঘ যাচাই-বাছাই ও একাধিক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে তা অনুমোদন পায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হয় নির্মাণকাজ। নগর ভবনের পার্শ্ববর্তী পাবলিক লাইব্রেরির কাছে সরকারি জমিতে এক লাখ ৮৭ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা বহুল প্রতীক্ষিত শহীদ মিনার।
নির্মাণ শেষে গত ২ ডিসেম্বর তা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিদর্শন করেন পেরিস সিটি মেয়র মাইকেল এম ভার্গাস ও লস অ্যাঞ্জেলেস বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর কনসাল জেনারেল সামিয়া আঞ্জুমসহ ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে ইনক’ সংগঠনের নেতারা। এ সময় সরকারি লাইব্রেরির একটি অংশকে ‘বাংলাদেশ কর্নার’ হিসেবেও বরাদ্দ দেন সিটি মেয়র।
এর আগে নিউজার্সির প্যাটারসন এবং টেক্সাসের হিউস্টনেও নির্মাণ করা হয় স্থায়ী শহীদ মিনার। এ ছাড়া লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশি-অধ্যুষিত এলাকার নামকরণ করা হয়েছে ‘লিটল বাংলাদেশ’।