হেক্সা শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করেছিল ব্রাজিল। টুর্নামেন্টে সেলেসাওদের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। যদিও হট ফেবারিটদের বিশ্বকাপযাত্রা থেমে গেছে শেষ আটেই। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গের দিনে কান্না লুকোতে পারেননি নেইমার-রিচার্লিসনরা।
বিশ্বকাপের শিরোপার অপেক্ষা বাড়লেও কাতারে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকারা। ফিফার নির্বাচিত সেরা দশ গোলের মধ্যে তিনটিই ছিল ব্রাজিলের, তার মধ্যে সবার সেরা হয়েছে সার্বিয়ার বিপক্ষে করা রিচার্লিসনের গোল।
তবে নিজের অর্জনের চেয়েও রিচার্লিকে বেশি পোড়াচ্ছে দলের বাদ পড়া। টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে খেলা এ ব্রাজিলিয়ানের মতে, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টিতে সেই হার পরিবারের কারোর মৃত্যুর চেয়েও বেশি বেদনার।
সম্প্রতি ইএসপিএনকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটা পরিবারের কাউকে হারানোর চেয়েও বেশি খারাপ ছিল। এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা কঠিন। আজ অবধি আমি যখন ভিডিওগুলো দেখি, এটি আমাকে ব্যথিত করে। তবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
রিচার্লিসন বলেন, আমি এখনও তরুণ, আমার সামনে এক বা দুটি বিশ্বকাপ আছে। আমি আমার ক্লাবে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি যাতে আবারও ফিরতে পারি। আমি জানি কিভাবে কি করতে হবে।
ব্রাজিলের জয় দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকা সমর্থকদের কাছেও ক্ষমা চেয়েছেন রিচার্লিসন। তিনি বলেন, ব্রাজিলের হয়ে উৎসব করতে যারা কাতারে জড়ো হয়েছিল কিংবা ব্রাজিলে থেকেছে সবার কাছে ক্ষমা চাই।