বিগত ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারে মতো জনসংখ্যা কমেছে চীনে। ২০২২ সালে দেশটির জনসংখ্যা অন্তত ৮ লাখ ৫০ হাজার কমেছে। চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের খবরে জানা যায়, ১৯৬১ সালে চীনে কয়েক বছরব্যাপী মহাদুর্ভিক্ষের শেষ বছরে চীনে শেষবারের মতো জনসংখ্যা কমেছিল। এরপর ৬১ বছর পেরিয়ে ২০২২ সালে এসে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কমলো।
গবেষকদের অনুমান, এ ধারা অব্যাহত থাকলে শিগগিরই ভারত চীনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হবে। চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪১ কোটির কিছুটা বেশি এবং ভারতের জনসংখ্যাও ১৪১ কোটির বেশি।
জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের অনুমান, দীর্ঘমেয়াদে ২০৫০ সাল নাগাদ চীনের জনসংখ্যা অন্তত ১০ কোটি ৯০ লাখ কমবে, যা ২০১৯ সালে অনুমিত সংখ্যার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। সেক্ষেত্রে ভারতই তখন বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশের স্থান দখল করবে।
দেশটির জনসংখ্যাবিদদের আশঙ্কা, যদি জনসংখ্যা হ্রাসের এ ধারা অব্যাহত থাকে তবে চীন উন্নত-ধনী দেশ হওয়ার আগেই দেশটির জনসংখ্যা বুড়িয়ে যাবে। একই কারণে দেশটির রাজস্ব আয় কমে যাবে, বাড়বে সামাজিককল্যাণ এবং স্বাস্থ্য ব্যয়।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-মেডিসনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ই ফুজিয়ান বলেছেন, ‘চীনের জনমিতি এবং অর্থনীতির ভবিষ্যৎ আগে যতটা উজ্জ্বল ভাবা হয়েছেলি তার চেয়ে এখন অনেকটাই ফ্যাকাশে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘চীনকে তাই নতুন করে তার অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করতে হবে।’