পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়েও সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে অন্য দেশের কাছে ভিক্ষা চাওয়া লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। একই সঙ্গে বিদেশি ঋণ নিয়ে পাকিস্তানের সমস্যার সমাধান করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) পাকিস্তান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (পিএএস) প্রবেশনারি অফিসারদের এক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে শাহবাজ শরিফ জানান, অন্য দেশের কাছে আরও ঋণের জন্য হাত পাততে তিনি বিব্রতবোধ করছেন। এ সময় বিদেশি ঋণ নিয়ে পাকিস্তানের সমস্যা সমাধান করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এভাবে ঋণ নিয়ে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কেননা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই ঋণের টাকা ফেরত দিতে হবে।’
কয়েক বছর ধরেই ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশটির আর্থিক অবস্থা আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৪৩০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
পাশাপাশি বন্ধু দেশগুলোর কাছ থেকেও আর্থিক সহায়তা পেতে কাজ করে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। সম্প্রতি বন্ধুরাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সহায়তা চান পাক প্রধানমন্ত্রী। বিধ্বংসী বন্যা ও ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট থেকে পাকিস্তানকে উদ্ধারে তারা দেশটিকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়ে দেশের নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিভিন্ন দেশের কাছে হাত পাতার বিষয়টিকে লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন শাহবাজ শরিফ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পাকিস্তানে খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাড়ায় দ্রুত ডলারের রিজার্ভ কমছে। এ ছাড়া গত বছরের বন্যায় দেশটির ৩০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় বলে জানা গেছে।