ইউরোপ যেন কোকেনের ‘সুনামির’ নীরব দর্শক। মহাদেশটির প্রধান শহরগুলোতে কোকেন এখন পিৎজা অর্ডার করার মতোই সহজ। অর্ডার করলেই কোকেন হাজির দরজায়। হোয়াটস অ্যাপ এবং সিগনালের মতো জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে সহজেই কোকেন অর্ডার করা যায়। অর্ডারের ২০ মিনিটের মাথায় পৌঁছে যায় কোকেন।
হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যারিস পুলিশের ড্রাগ স্কোয়াডের কমিশনার ভার্জিনি লাহায়ে বলেছেন, ‘এখন শহরের ভয়ংকর এলাকাগুলোতে না গিয়েও খুব সহজেই কোকেন কেনা যায়।’ এই পুরো কেনা বেচার প্রক্রিয়াটিকে মাদকসেবীরা স্কোরিং বলে আখ্যা দেন।
লাহায়ে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেন, ‘কোকেনের গ্রাহকরা জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে গিয়ে ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং কোকেন ডেলিভারি দিতে বলে। তাদের অনুরোধ থাকে এমন কাউকে দিয়ে ডেলিভারি দেয়া হোক যাকে খাবারের ডেলিভারি ম্যানদের মতো দেখায়।’
ইউরোপীয়ান মনিটরিং সেন্টার ফর ড্রাগস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডিকশন (ইএমসিডিডিএ) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২১ সালে অন্তত ৩৫ লাখ ইউরোপীয় নাগরিক নিয়মিত কোকেন সেবন করেছে, যা ২০০১ সালের তুলনায় চারগুণেরও বেশি।
বেলজিয়ামের ফেডারেল পুলিশের প্রধান এরিক স্নোয়েক ইউরোপজুড়ে কোকেনের এই অবাধ প্রবাহকে সুনামির সঙ্গে তুলনা করেছেন। ইউরোপোলের দেয়া তথ্যানুসারে ২০২১ সালে অন্তত ২৪০ টন মাদক জব্দ করা হয়েছে ইউরোপজুড়ে, যা কিনা মাত্র এক দশক আগের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ বেশি।