চীনে করোনা পরিস্থিতির আরও বিস্তারিত তথ্য চেয়ে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর বেইজিং সঠিক সময়ে প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় দু-বছর ধরে ‘জিরো-কোভিড’ নীতি অনুসরণ করে আসছিল চীন। তবে বিক্ষোভের মুখে গত বছরের ডিসেম্বরে কোভিড নীতি শিথিলে বাধ্য হয় শি জিনপিং সরকার। এরপরই গত এক মাসে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় দেশটির সরকার।
সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ জানিয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় চীন সরকারকে চলমান করোনা পরিস্থিতির আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। বেইজিং ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর সময়মতো প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। চীন করোনা সংক্রান্ত তথ্য সময়মতো প্রকাশ করলে মহামারি পরিস্থিতি ভালোভাবে বোঝা যাবে বলেও উল্লেখ করেছে ডব্লিউএইচও।
ডিসেম্বরে করোনার বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পরই তথ্যটি প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যেই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগী। ডব্লিউএইচও ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ চীনকে করোনার তথ্য প্রকাশের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ চীন থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষার নিয়মও চালু করেছে।
গেল শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দেশটির ব্যুরো অব মেডিকেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৮ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৫৯ হাজার ৯৩৮ জন।
এদিকে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানায়, শুধু হাসপাতালে মৃত্যু ঘটেছে এমন রোগীদের তথ্যই প্রকাশ করা হবে। কোভিড আক্রান্ত হয়ে যারা বাড়িতে মারা গেছেন, তাদের এ গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। তবে ভবিষ্যতে হালনাগাদ করা তথ্য প্রকাশ করা হবে কি না, এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।