নিজেদের জন্য বিকল্প ভেন্যু খুঁজছে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। পার্ক দে প্রিন্সেস বিক্রির জন্য নয়, প্যারিস মেয়রের এমন ঘোষণার পর এই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পিএসজি কর্তৃপক্ষ। স্টেডিয়ামটি প্যারিসিয়ানরা হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করলেও, মালিকানা প্যারিস সিটি কর্পোরেশনের। সম্প্রতি তা কেনার জন্য আবেদন করে পিএসজি।
১৯৭৪-এ ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে উত্তীর্ণ হবার পর থেকেই পার্ক দে প্রিন্সেস নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে পিএসজি। প্যারিস সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধিন স্টেডিয়ামটিতে একটি চুক্তির মাধ্যমে খেলে যাচ্ছে প্যারিসিনয়ারা। তবে সম্প্রতি পিএসজি পার্ক দে প্রিন্সেস কিনতে চাইলে তৈরি হয় বিপত্তি।
প্যারিস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২০১৩ সালে স্টেডিয়ামটি ৩০ বছরের জন্য লিজ নেয় পিএসজি। পরবর্তী তিন বছরে সংস্কার বাবদ সেখানে ৭৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে ক্লাবটি। তবে লিজ থাকার মধ্যেই গেল বছর নভেম্বরে পার্ক দে প্রিন্সেস কেনার প্রস্তাব দেয় প্যারিসিয়ানরা। যার প্রেক্ষিতে অবস্থান পরিষ্কার করলো প্যারিস প্রশাসন।
প্যারিসের মেয়র অ্যানি হিডালগো বলেন, ‘পার্ক দে প্রিন্সেস বিক্রির জন্য নয়। এটা কখনো বিক্রি হবে না। এটাই চূড়ান্ত এবং এই অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না। এই স্টেডিয়াম প্যারিসবাসীর জন্য ব্যতিক্রমী একটি ঐতিহ্য। কিন্তু অবশ্যই আমরা পিএসজির প্রত্যাশা অনুযায়ী স্টেডিয়ামটি সাজাব। প্রয়োজনে সংস্কার করা, ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোসহ আধুনিকায়নের সব কাজই আমরা করে দিব।’
২০১১ সালে কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্ট পিএসজি কিনে নিলে ব্যাপক সফলতা পেতে থাকে ক্লাবটি। বিশ্বের নামি-দামি ফুটবলারদের ঠিকানা হয় প্যারিস। যার ধারাবাহিকতায় ফুটবল বিশ্বে বাড়তে থাকে তাদের ফ্যানবেজ। আর তাই নিজস্ব হোম ভেন্যুর পথে হাঁটছে কর্তৃপক্ষ।
পিএসজির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বলা হয়, ‘প্যারিসের মেয়রের কথা আমাদের আশাহত করেছে। এই স্টেডিয়াম ব্যবহার না করতে আমাদের এক প্রকার বাধ্য করা হচ্ছে। তারা যে প্রক্রিয়ার কথা বলছে তাতে আমাদের প্রচুর কর প্রদান করতে হবে। এই স্টেডিয়ামের পেছনে আমরা এরইমধ্যে ৮৫ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করেছি, আরো ৫০০ মিলিয়ন খরচ করার কথা রয়েছে। তবে আমাদের পরোপুরি স্টেডিয়ামটি না দেয়া হলে আর কোনো অর্থ ব্যয় করব না।’
প্যারিস প্রশাসন পার্ক দে প্রিন্সেস বিক্রি করতে না চাওয়ায় নতুন স্টেডিয়ামের খোঁজে পিএসজি। তবে কোথায় হবে তাদের নিজস্ব স্টেডিয়াম তা এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।