নীলফামারীতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হিমেল বাতাসের কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে স্বভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগ বাড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের। শীত থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে সামান্য উষ্ণতা খোঁজার চেষ্টা করছে শ্রমজীবী মানুষ।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জেলায় সকাল পর্যন্ত ৮ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। গত তিন দিনের তাপমাত্রা প্রায় একই রকম ছিল।
জানা গেছে, শৈত্যপ্রবাহের কারণে টিপ টিপ বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
কৃষি শ্রমিক, আলতাফ, রবিউল, সোহাগ, মতিয়ার বলেন, প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশার কারণে আমরা জমিতে নামতে পারছি না। জমিতে সেচ দেয়ায় পানি হিম শীতল ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। ফলে সূর্য না দেখা পর্যন্ত জমিতে নামা কষ্টকর। ফলে সারাদিনের কাজ করার শ্রম ঘণ্টা কমে যাচ্ছে।
রিকশা, অটোভ্যানচালক শহিদুল, আলমগীর, জসিম রুবেল বলেন, সকালে বের হয়ে গাড়ি চালাতে হাত-পা কাঁপা শুরু করে। যতোই গরম কাপড় পরি না কোনো তাতে শীতে নিবারণ হয় না। ঠান্ডার কারণে প্রতিদিনের রোজগার কমে গেছে।
জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য ৬টি উপজেলায় প্রায় ৩১ হাজার ৫০০ কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে।