আফগানিস্তানের প্রাক্তন নারী আইনপ্রণেতা মুরসাল নবীজাদা এবং তার এক দেহরক্ষীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কাবুল পুলিশ জানিয়েছে, রোববার (১৫ জানুয়ারি) নবীজাদা এবং তার দেহরক্ষীকে নবীজাদার নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট সরকারের একজন আইনপ্রণেতা ছিলেন নবীজাদা। তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর কতিপয় যে কয়জন প্রাক্তন আইনপ্রণেতা কাবুলে থেকে যান নবীজাদা তাদের একজন।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান বলেছেন, ‘মুরসাল নবীজাদা এবং তার এক দেহরক্ষীকে নবীজাদার নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী এই বিষয়ে জোর তদন্ত শুরু করেছে।’
স্থানীয় পুলিশের প্রধান মৌলভী হামিদুল্লাহ খালিদ বলেছেন, ‘স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে এই গোলগুলির ঘটনা ঘটে।’ তিনি জানিয়েছেন, এ সময় নবীজাদার এক ভাই এবং তার আরেক দেহরক্ষী গুরুতর আহত হয়েছেন। আততায়ীরা ঘটনাস্থল থেকে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছে।’ তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কী এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
মুরসাল নবীজাদা ২০১৯ সালে কাবুলের একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আফগানিস্তানের পার্লামেন্টে। তিনি দেশটির পার্লামেন্টের প্রতিরক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন। এর বাইরেও তিনি বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, তিনি ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চেরও একজন সদস্য ছিলেন।
মুরসাল নবীজাদার মৃত্যুতে তার সাবেক সহকর্মীরা শোক প্রকাশ করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন, এই ঘটনায় জড়িতরা কোনো ছাড় পাবে না। তাদের উপযুক্ত শাস্তির মুখোমুখি করবে তালেবান সরকার।