মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশেদঃ পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল (৪৮) জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের একটি নিয়োগ জালিয়াতি মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
রবিবার স্থানীয় সময় দুপুরে পঞ্চগড় জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান মন্ডলের আদালতে এ আদেশ প্রদান করেন। এদিকে মামলা হওয়ায় আসামি সাইফুল ইসলাম দুলাল তিনি উচ্চ আদালত হতে দীর্ঘ দিন জামিনে ছিলেন। ধার্য তারিখে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা না মনজুর হয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করে আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবি এড্যাঃ আব্দুল হান্নান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মোঃ সাইফুল ইসলাম দুলাল তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৮ নম্বর ধাক্কামাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
সম্প্রতি গত অর্থ বছরের ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়োগ জালিয়াতির ধাক্কামাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়–য়া। এদিকে মামলার ইজাহারের অন্য আসামিরা হলেন, আটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের তেলিপাড়া এলাকার ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ ইয়াসমিন (২২) ওই এলাকার নল পুখুরী গ্রামের লতিফুর রহমানের মেয়ে মৌসুমি আক্তার (২৬) আসামি ইয়াসমিনের স্বামী এ এইস আর মাসুদ রয়েল (২৮) এবং তার ভাই সাইদুর রহমান (২৫) বাকি সব আসামি বর্তমানে জামিয়ে আসেন বলে জানা যায়।
এদিকে মামলার ইজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার কল্যাণ সহকারী সূন্য পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে ইয়াসমিন ও মৌসুমী উর্ত্তীণ হন। রিটেন পরীক্ষার ফলাফলে গত ২৮ নভেম্বর পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য অংশ নিতে গেলে তাদের লিখিত উত্তরপত্রের সাথে নিজের লেখার মিল না পেলে পরীক্ষা বোর্ডের সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা একপর্যায় স্বীকারত্তি প্রদান করে যে প্রক্্ির দিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ইয়াসমিন জিজ্ঞাসাবাদে মামলায় উল্লেখ থাকে যে সাইদুর রহমান এবং স্বামী এ এইস আর মাসুদ রয়েল লিখিত পরীক্ষায় প্রক্্িরর মাধ্যমে পাস করাতে সহযোগীতা করেন। মামলার ইজাহারে বলা হয় পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল ইয়াসমিনের কাছে ১২ লক্ষ টাকা চুক্তি হয় চাকুরির জন্য।