খাগড়াছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) অর্ধদিবস অবরোধ চলছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে এ অবরোধ শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
এর আগে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধের দাবিতে এ অবরোধের ডাক দেয় আঞ্চলিক সংগঠনটি।
এদিকে অবরোধের কারণে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সড়কগুলোয় দূরপাল্লার বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে রিকশা ও অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। সকালের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশকোচগুলোকে পুলিশি পাহারায় জেলা সদরে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের বেশকিছু স্থানে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিকেটিং করেছেন। কিছু স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটেনি।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অংগ্য মারমা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালন করছি। আমাদের অবরোধ কর্মসূচিতে সাড়া দিয়েছে যানবাহন মালিকরা। তারা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রশিদ বলেন, অবরোধে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
১৩ জানুয়ারি ইউপিডিএফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, পার্বত্য চুক্তিকে ঝুলিয়ে রেখে পাহাড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধরপাকড়, মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে হয়রানির ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। এসব অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় ইউপিডিএফ।