র্যাব নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, মানবাধিকার ইস্যুতে অগ্রগতি করেছে সংস্থাটি।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে লু জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব শক্তিশালী করতেই তার এই সফর। এ সময় ড. মোমেন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ভালো পরামর্শকে স্বাগত জানাবে সরকার।
লু আরও জানান, জিএসপি যদি আবারও চালু হয়, তবে বাংলাদেশ অগ্রাধিকারে থাকবে।
সফরের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই কর্মব্যস্ততা ছিল মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর। সকাল ৭টায় প্রথমে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনে যান। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা চলে বৈঠক। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয় সেখানে।
এরপর গুলশান ১-এর ১৩৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত সলিডারিটি সেন্টারে যান ডোনাল্ড লু। শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংস্থাটির কার্যালয়ে সকাল ৯টায় প্রবেশের পর প্রায় ২ ঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি।
এরপর সরাসরি চলে যান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে দুপুর ১২টায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে। এছাড়া সেখানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। তবে কোনো বৈঠক শেষে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি এখনো।
পররাষ্ট্র দফতরের শীর্ষ তিন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ডোনাল্ড লু ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যান। সেখানে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মার্কিন এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।
এর আগে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা পৌঁছানোর পর সরাসরি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যান ডোনাল্ড লু। রোববার রাতেই ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।