চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার সমানে কেবল একটি আশাই বাকি রয়েছে। আর তা হলো, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সহায়তা লাভ করা। দীর্ঘদিন ধরে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) এই মন্তব্য করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, ‘আমরা ভালোভাবেই জানি যে, আমাদের অর্থনীতি ধ্বসে গেছে। তাই আমি জানি, দেশের মানুষ কোন ধরনের কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা দেখেছি, বিপুলসংখ্যক মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ব্যাপকহারে। ফলে মানুষর দৈনন্দিন জীবনযাত্রাও এখন বদলে যাচ্ছে।’
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আগে শ্রীলঙ্কার মানুষ যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতেন তা অনেকাংশেই এখন আর দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ, তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতসহ সব খাতই মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো সবই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ফল। তবে যা ঘটে গেছে তার মূল কারণ নিয়ে আলোচনা করা এখন অহেতুক বিষয়। আমাদের সামনে এখন যে আশা বাকি রয়েছে তা হলো, আইএমএফের কাছ থেকে সহায়তা গ্রহণ করা। অন্যথায় আমরা কোনোভাবেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে পারব না।’
রনিল বিক্রমাসিংহে জোর দিয়ে বলেন যে, তিনি ঋণ পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের মৃতপ্রায় অর্থনীতিতে প্রাণসঞ্চারে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ঋণ পুনর্গঠন কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে আমাদের তিন দাতা দেশ চীন, জাপান এবং ভারতের মধ্যে জাপানের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
লঙ্কান প্রেসিডেন্ট আরও জানান, তার সরকার আইএমএফের সঙ্গে আলোচনায় সফল হয়েছে। শ্রীলঙ্কাকে যেন ঋণসহায়তা দেয়া হয় সে বিষয়ে আইএমএফকে আস্থা দিতে পেরেছে তার সরকার।