পোখারায় ইয়েতি এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী একটি বিমান ৭২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আরোহীরা সবাই নিহত হয়েছেন। ভয়াবহতার বিচারে নেপালের ইতিহাসে বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা এটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, নেপালের বেসরকারি বিমান পরিচলানকারী সংস্থা ইয়েতি এয়ারলাইনসের এটিআর ৭২ মডেলের বিমনাটিতে ৬৪ যাত্রী ও ৪ ক্রুসহ মোট ৭২ জন ছিলেন।
বিমানটি পোখারার পুরাতন বিমানবন্দর এবং বর্তমান পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যবর্তী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। জায়াগাটি নেপালের অন্যতম প্রধান নদী সেতি গাণ্ডকী নদীর তীরে বনাঞ্চলে অবস্থিত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ৬৮ জন যাত্রীর মধ্যে ৫৩ জন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রুশ, আইরিশ একজন, কোরীয় নাগরিক দুজন, আর্জেন্টিনা এবং ফরাসি নাগরিক একজন করে। দুই কোরীয় নাগরিকের বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
ইয়েতি এয়ারলাইনসের এটিআর-৭২ মডেলের বিমানটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাচ্ছিল। বিমানটি ৬৮ যাত্রী এবং চার ক্রু নিয়ে পোখারার পুরাতন বিমানবন্দর এবং নতুন পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যবর্তী স্থানে বিধ্বস্ত হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান পরিচালনাকারী সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি বিমান কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হয়। ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়া ড্যাশ-৮ টার্বোপ্রপ বিমানটিতে মোট ৭১ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ৫১ জনই ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন। সেই ঘটনার প্রায় পাঁচ বছর পর পোখারায় আবারও এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটল।