ব্রিটিশ রাজপুত্র হ্যারি বলেছেন, ‘পরিবারকে ছাড় দিতেই নিজের স্মৃতিকথায় সব লিখিনি। সব লিখলে বাবা এবং ভাই আমাকে কখনোই ক্ষমা করতে পারতেন না। আমার কাছে আরও একটি বই লেখার মতো পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের সাংবাদিক ব্রিয়নি গর্ডনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।
সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, তিনি যে বইটি লিখেছিলেন তার আকার ছিল বর্তমান বইটির দ্বিগুণ। কিন্তু তিনি তার বাবা, ভাই ও পরিবারের কথা বিবেচনা করে পাণ্ডুলিপি বদলে সেটিকে অর্ধেকে নামিয়ে আনেন। বিশেষ করে, সব তথ্য প্রকাশ করলে তার সঙ্গে তার বাবা এবং ভাইয়ের সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটি বিবেচনায় করেই পুরো বইটি তিনি প্রকাশ করেননি।
ব্রিয়নি গর্ডনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হ্যারি বলেন, ‘বইটির প্রথম খসড়া ছিল বর্তমান বইটির চেয়ে অনেক আলাদা। আগে এটি ছিল ৮ শতাধিক পৃষ্ঠার, আর এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪০০ পৃষ্ঠায়। সবকিছু রেখে দিলে অন্তত দুটি বই হতে পারত।’
হ্যারি আরও বলেন, ‘অনেক ঘটনাই ঘটেছে আমার জীবনে। বিশেষ করে আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক ঘটনাই রয়েছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার বাবার সঙ্গেও আমার অনেক ঘটনা রয়েছে। আমি স্রেফ চাইনি যে, সেই বিষয়গুলো পৃথিবীর সামনে আসুক। কারণ, আমি মনে করি সেটা হলে, আমার বাবা ও ভাই আমাকে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারত।’
হ্যারির এই বই কোনোভাবে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রকে ধ্বংস করার কোনো উদ্যোগে পরিচালিত কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে হ্যারি বলেন, ‘এটি রাজতন্ত্র ধ্বংসের কোনো কিছু নয় বরং এটি তাদের নিজের কবল থেকে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা মাত্র। আমি জানি, অনেক কথা ফাঁস করায় অনেক লোকই আমাকে দোষী বলে সাব্যস্ত করবে।’
হ্যারি আরও জানিয়েছেন, তার উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক ছিন্ন করানো। তিনি এসব বলেছেন, করেছেন সেই একই উদ্দেশ্যে এবং একই সঙ্গে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল তার বাবা এবং ভাইকে নিজের জীবনে ফিরে পাওয়া।