মালদ্বীপের সংসদ অধিবেশনে টক অব দ্য পয়েন্টে অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপদ অভিবাসন ও ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ‘মিশন ফর মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স মালদ্বীপ’ ও ‘ট্রান্সপারেন্সি মালদ্বীপ’।
তারা বলছে, মালদ্বীপের উন্নয়নের বিপরীতে অর্থনীতির নানা মারপ্যাঁচে অভিবাসী শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রকৃত আয় কমে গেছে। বর্তমানে অভিবাসীদের জীবন মান কমতে কমতে বাসস্থান, পুষ্টিহীনতা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার স্তরে পৌঁছে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টায় রাজধানী মালে সিটির বাঙালি মার্কেট নামে খ্যাত নীলন ফিহারা/পুরাতন মার্কেটে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরপরই যৌথ বিবৃতি দেয় ‘মিশন ফর মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স মালদ্বীপ’ এবং ‘ট্রান্সপারেন্সি মালদ্বীপ’।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করে, মালদ্বীপে অভিবাসী শ্রমিকদের থাকার জন্য নির্মিত বাসস্থান এবং তাদের অন্যান্য সুবিধাগুলো মানবাধিকার মানসম্মত নয়। অভিবাসী শ্রমিকদের বসবাসের জন্য নির্মিত স্থানগুলোতে তারা প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং ছোট-বড় অনেক কোম্পানিই অভিবাসী শ্রমিকদের বাসস্থান ও খাবারের জন্য দেয়া মজুরি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। ফলে এই ধরনের প্রতিটি ঘটনায় অভিবাসী শ্রমিকদের অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
বিবৃতিতে মানবাধিকার সংগঠনের নেতারা বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসহ অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন চর্চার সুযোগ, শ্রম আইন ও বিধিমালা বাস্তাবায়ন, শ্রমিক নিপীড়নের ধারাগুলোর সংশোধন, কর্মক্ষেত্রে পঙ্গুত্ব বা জীবনহানিতে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদান, বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ মজুরি, আপৎকালীন মহার্ঘ ভাতা এবং শ্রমিকদের জন্য বিশ্বমানের বাসস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া শ্রমিকদের নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরিসহ অভিবাসী আইনের মান পূরণে ব্যর্থ হলে এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানান তারা।
অভিবাসী শ্রমিকদের সম্মানজনক জীবনযাপনের ব্যবস্থা করতে কার্যনির্বাহী পরিবেশ সুরক্ষা বিল, যা বর্তমানে মালদ্বীপের প্রতিনিধি পরিষদে রয়েছে- তা গেজেট পাস করার আহ্বান জানান।