জাপান সুনামিতে বিধ্বস্ত ফুকুসিমা পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের প্রায় ১০ লাখ টন তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফুকুশিমা কেন্দ্র পরিচালনা কর্তৃপক্ষের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাও (আইএইএ) এই পানি সাগরে ছাড়া নিরাপদ উল্লেখ করে প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে।
এদিকে শুক্রবার জাপানের মন্ত্রী হিরোকাজু মাতসুনো বলেছেন, ‘এ বছরের বসন্ত অথবা গ্রীষ্মে এই পানি সমুদ্রে ফেলব বলে ঠিক করেছি। তবে আইএইএ থেকে চূড়ান্ত প্রতিনেদন আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।’
জাপানের এমন কর্মকাণ্ডে প্রতিবেশী দেশগুলোসহ স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় বিরোধিতা করছে। স্থানীয় জেলেদের আশঙ্কা, এই পানি সাগরে ফেলা হলে সামুদ্রিক খাবারের ওপর মানুষ আস্থা হারাবে।
বর্তমানে ফুকুশিমার দূষিত পানি দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে ট্যাংকে সঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। সাগরে ফেলার আগে পানিতে থাকা বিভিন্ন আইসোটোপ দূর করা হবে। তবে ট্রিটিয়াম নামের যে আইসোটোপ পানি থেকে আলাদা করা যায় না সেটিকে পাতলা করে বিপজ্জনক মাত্রার নিচে নামানো হবে। এরপর সাগরে ছাড়া হবে।
২০২১ সালে ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন করে জাপান সরকার। ওই সময় জাপান সরকার জানায়, ১০ লাখ টন তেজস্ক্রিয় পানি শোধন করে পর্যায়ক্রমে সাগরে ফেলা হবে।
২০১১ সালের ১১ মার্চ ভয়াবহ এক ভূমিকম্প এবং এ থেকে সৃষ্ট সুনামির বিশাল জলোচ্ছ্বাসে জাপানের ফুকুশিমায় অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির চারটি পারমাণবিক চুল্লি প্লাবিত হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। জীবন বিপন্ন হওয়ায় আশেপাশের এলাকা থেকে লাখো মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়।