সংলাপের মাধ্যমে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক আবারও শুরু হতে পারে। এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে শিয়া নেতা নিমর আল-নিমরকে মৃত্যুদণ্ড দিলে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে আন্দোলনকারীরা তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায়। প্রতিক্রিয়ায় সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
সংবাদ সম্মেলনে হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেন, ‘আমি আশ প্রকাশ করছি যে, সংলাপের মাধ্যমে তেহরান এবং রিয়াদের মধ্যে আবারও কূটনৈতিক সম্পর্ক কিংবা দূতাবাস পুনরায় শুরু হতে পারে। এ জন্য দুই দেশের সংলাপ চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
মধ্যপ্রাচ্য এবং এর আশপাশের বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দ্বন্দ্বে ইরান এবং সৌদি আরবের অবস্থান বিপরীতমুখী। উভয় দেশই ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠী বা পক্ষকে সহায়তা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে সিরিয়া, ইয়েমেনে এই অবস্থান খুবই প্রকট। ইয়েমেনে ইরান যেখানে হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয় সেখানে সৌদি সরাসরি ইয়েমেনর সরকারের পক্ষ নিয়ে হুথিদের ওপর আক্রমণ চালায়।
অবশ্যই ইরান এবং সৌদির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক দফা চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ইরাকের মধ্যস্থতায় অন্তত ৫ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে সাম্প্রতি সময়ে এই বৈঠক স্থগিত রয়েছে। সিরিয়া ও ইয়েমেন ছাড়াও ইরাক এবং লেবাননেও ইরানের প্রভাব রয়েছে।