ডেভিড বেকহ্যাম খেলা ছেড়েছেন প্রায় এক দশক আগে। তবে তাকে নিয়ে মাতামাতি কমেনি একটুও। যেখানেই যান ভক্ত-সমর্থকদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। খ্যাতির বিড়ম্বনা এড়াতে কখনো কখনো ছদ্মবেশেও ঘুরতে হয় তাকে। তবে তাতেও কী আর সবসময় রক্ষা হয়! ছেলের খেলা দেখতে গিয়ে তো এবার ভক্তদের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে পালাতেই হলো সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ড জেনারেলকে।
সম্প্রতি বেকহ্যামের ছেলে রোমিও ইন্টার মিয়ামি থেকে ধারে যোগ দিয়েছেন ইংলিশ ক্লাব ব্রেন্টফোর্ডের ‘বি’ দলে। দলটির হয়ে ছেলের অভিষেক ম্যাচ দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন সাবেক এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। তবে ম্যাচ শেষ হতে না হতে রীতিমতো বেড়া টপকে মাঠ ছেড়ে পালাতে হয়েছে তাকে। ভক্তদের উৎপাত থেকে বাঁচতে এমন কাণ্ড করতে হয়েছে তাকে।
গত সপ্তাহে ইন্টার মিয়ামি থেকে ব্রেন্টফোর্ডের ‘বি’ দলে যোগ দেওয়ার পর এদিন প্রথম ম্যাচ ছিল রোমিও বেকহ্যামের। লন্ডন সিনিয়র কাপের নবম সারির দল এরিথ অ্যান্ড বেলভের্দের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয় তার।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দলটির হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন রোমিও। এ সময় তার দল ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে হারের শঙ্কায় কাঁপছিল। তবে পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচটি জিতে নেয় ব্রেন্টফোর্ড। বেকহ্যামের ছেলের খেলা দেখতে এদিন রেকর্ড পরিমাণ দর্শক হাজির হয় এরিথ অ্যান্ড বেলভের্দের মাঠে। বিরূপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে ৫৫৪ জন দর্শক উপস্থিত হন মাঠে। যাদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত জন স্বয়ং রোমিওর বাবা বেকহ্যাম। রেইনকোট পরে নিজেকে দর্শক সারিতে লুকিয়ে রাখেন তিনি।
তবে শেষরক্ষা হয়নি। একসময় ঠিকই দর্শকরা চিনে ফেলেন তাকে। সঙ্গে সঙ্গে গ্যালারিতে অবস্থা বেগতিক দাঁড়ায়। মাঠের খেলা বাদ দিয়ে তখন সকলের আগ্রহের কেন্দ্রে দর্শকসারিতে উপস্থিত ৪৭ বছর বয়সী বেকহ্যাম। কিংবদন্তি এই ফুটবলারের সঙ্গে ছবি তুলতে ভিড় জমাতে শুরু করেন দর্শকরা। অবস্থা বেগতিক দেখে একপর্যায়ে বেড়া টপকে স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান তিনি।
বেকহ্যামকে নিয়ে এই উন্মাদনার বিষয়ে ব্রেন্টফোর্ড ‘বি’ দলের কোচ নেইল ম্যাকফারলেন বলেন, ‘তার (রোমি) বাবা (বেকহাম) ছিলেন অবিশ্বাস্য এক খেলোয়াড়। মানুষ হিসেবেও তিনি দুর্দান্ত ছিলেন।’