যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিগিগকে এরই মধ্যে কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাইডেন।
তিনি বলেন, ‘আশা করছি কী কারণে এমনটা ঘটেছে, তা খুব দ্রুতই বের করবে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। আমরা তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে, কারিগরি ত্রুটির কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যে হাজার হাজার ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছিল, তা আবার আস্তে আস্তে চালু হতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচলবিষয়ক সরকারি সংস্থা এফএএ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণব্যবস্থায় কারিগরি ত্রুটির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ চলাচল বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। এতে বেশ কয়েক ঘণ্টা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে বুধবার সকাল পর্যন্ত ৫ হাজার ৮শর বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। বাতিল করা হয় আট শতাধিক ফ্লাইট।
এর আগে এফএএ জানিয়েছিল, ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণব্যবস্থায় (নোটাম) কারিগরি ত্রুটির কারণে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট উড্ডয়ন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণব্যবস্থায় একটি ত্রুটির কারণে বৈমানিকরা নোটিশ টু এয়ার মিশনব্যবস্থায় বিপদের ঝুঁকি রয়েছে – এমন বার্তা পাঠাচ্ছিল।
এফএএ জানায়, মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কম্পিউটার সিস্টেমে একটি ত্রুটি ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতা জারি করা হয়। কিন্তু সিস্টেম রিবুট করার পরও সমস্যাটি ঠিক না হওয়ায় সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ফলে হাজার হাজার যাত্রী বিমানবন্দরগুলোতে আটকা পড়েন।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ২১ হাজার ৪৬৪টি ফ্লাইট তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। ফ্লাইটগুলোর বেশিরভাগই অভ্যন্তরীণ। ফ্লাইট ট্র্যাকার সিরিয়ামের তথ্য মতে, এসব ফ্লাইটে প্রায় ২৯ লাখ যাত্রী ছিল।