গত বছর গোটা দেশের বক্স অফিস কাঁপানো ছবি ‘আরআরআর’-এর নাটু নাটু’ গানের তালে আগেই নেচেছে গোটা দেশ। আর এবার পশ্চিমের অন্যতম চর্চিত অ্যাওয়ার্ড সেরেমানি গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চে সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে এই গানটি। ‘নাটু নাটু’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ মৌলিক গান বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে ছবিটি, যা নিঃসন্দেহে গোটা দেশের কাছে বিরাট পাওনা। কিন্তু সাফল্যের এমন দিনে কটাক্ষ পিছু ছাড়ল না ‘আরআরআর’ তারকা জুনিয়র এনটিআরের। এদিন জুনিয়র এনটিআরের ‘সাহেবিয়ানা’ দেখে হতবাক ভক্তরা।
এদিনের অনুষ্ঠানের লালগালিচায় তারকার ভোলবদল দেখে ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন অনেকেই। বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হঠাৎ করেই বদলে যায়, এনটিআরের ইংরাজি বলার ধরন। আচমকাই মার্কিন অ্যাক্সেন্টে ইংরাজি বলতে শোনা গেল তাকে। এনটিআর জুনিয়রকে বহুবার ইংরাজি বলতে শুনেছে ভারতীয়রা, তবে তার বাচনভঙ্গিতে এমন বিদেশি টান কখনও শোনা যায়নি।
একজন কটাক্ষের সুরে লেখেন, ‘ভারতীয়েদর মতো স্বাভাবিক ইংরাজি কি বলা যেত না? এরা কি প্রমাণ করতে চায় ব্রিটিশ বা মার্কিনদের মতো ইংরাজি বললেই সঠিক ইংরাজি বলা যায়?’ অপর এক নেটিজেন লেখেন, ‘বাব্বা! এক রাত আগে আমেরিকা গিয়ে এই অবস্থা! পুরো সাহেব হয়ে গেছে তো, এমন ভুয়ো বাচনভঙ্গির কী দরকার? বোঝাই যাচ্ছে এটা ফেক’।
যদিও জুনিয়র এনটিআর ভক্তরা তার হয়ে ব্যাট ধরে। তাদের দাবি, নির্দিষ্ট কোনো কারণে বাচনভঙ্গিতে বদল আসতেই পারে, অনেকক্ষেত্রেই সেটা ঘটে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে গোটা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে ‘আরআরআর’ টিম, সেটা নিয়েই মাতামাতি করা উচিত, মত তারকার অনুরাগীদের।
‘মনসুন ওয়েডিং’-এর পর, ২১ বছরের ব্যবধানে প্রথম ভারতীয় ছবি হিসেবে ‘গোল্ডেন গ্লোব’-এর মঞ্চে মনোনয়ন পেতে সক্ষম হয়েছিল রাজামৌলির ছবি। সেরা মৌলিক গানের পুরস্কার জিতলেও ‘সেরা বিদেশি ভাষার ছবি’র পুরস্কার হাতছাড়া হয় ‘আরআরআর’-এর। মেসির দেশের ছবির ‘আর্জেন্টিনা, ১৯৮৫’-এর হাতে গেল এই সম্মান।