কিংবদন্তি ব্রিটিশ গিটারবাদক জেফ বেক আর নেই। বুধবার জেফ বেকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়, মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
আটবারের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী এই গিটারবাদক ষাটের দশকের রক ব্যান্ড ইয়ার্ডবার্ডসে যোগদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পান। এরিক ক্ল্যাপটনের প্রস্থানের পরপরই তিনি এ ব্যান্ডে যোগ দেন, যদিও বেশিদিন এখানে থাকেননি জেফ। পরবর্তীতে ইয়ার্ডবার্ডস ছেড়ে দিয়ে রড স্টুয়ার্টের সঙ্গে মিলে তিনি ‘জেফ বেক গ্রুপ’ গঠন করেন।
জেফ বেককে মনে করা হয় বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন গিটারবাদক। প্রয়াত ব্রিটিশ তারকার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “জেফ বেকের পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে, জেফ বেক আর আমাদের মাঝে নেই। হঠাৎ করেই ব্যাক্টেরিয়াল মেনিনজাইটিসে সংক্রমণের পর তিনি শান্তিপূর্ণভাবেই চিরনিদ্রায় গিয়েছেন। এই দুঃসময়ে জেফ বেকের পরিবার তাদের গোপনীয়তা বজায় রাখার অনুরোধ জানাচ্ছে।”
জেফ বেকের খ্যাতি কেবল তার পারফরম্যান্সেই সীমাবদ্ধ ছিল না বরং ষাটের দশকে হেভি মেটাল, জ্যাজ-রক এমনকি পাঙ্কের উত্থানেও তার প্রেরণা ছিল। জেফ বেকের কাছে গিটার যেন ছিল আজ্ঞাবহ এক যন্ত্রের মতোই। তিনি প্রচলিত নিয়মনীতির তোয়াক্কা করতেন না খুব একটা। গিটার হাতে পেলে হারিয়ে যেতেন অন্য এক ভুবনে।
২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো রক অ্যান্ড রোলের হল অব ফেমে জায়গা পাওয়ার সময় এক সাক্ষাৎকারে জেফ বেক বলেছিলেন, ‘আমি সেভাবেই বাজাই, কারণ এটাই আমাকে সম্ভাব্য সবচেয়ে কষ্টের শব্দ বের করে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। এটাই তো ব্যাপার, তাই না? আমি নিয়মনীতির পরোয়া করি না।’
রোলিং স্টোন সাময়িকী সর্বকালের সেরা যে ১০০ গিটারিস্টের তালিকা করেছিল, জেফ বেক সে তালিকার সেরা পাঁচেই ছিলেন। তাকে বলা হতো ‘গিটারিস্টদের গিটারিস্ট’। ১৯৪৪ সালের ২৪ জুন লন্ডনে জন্ম হয় জেফ বেকের। বয়স যখন মোটে ছয়, তখন রেডিওতে ইলেকট্রিক গিটারের বাজনা শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তখন কে জানত, পরে গিটারেই ভাগ্য বাঁধা পড়বে তার!