জার্মানিতে অবিলম্বে কয়লাখনি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোলনের একটি কয়লাখনি বন্ধে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করেছে পরিবেশবিদদের বেশ কয়েকটি সংগঠন। তাদের বাধা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে নামায় স্থানীয় প্রশাসন।
জার্মানির পশ্চিমে কোলনের কাছে লয়েটসেরাথের কয়লাখনি বন্ধে দুই মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে পরিবেশবাদীদের বেশ কয়েকটি সংগঠন। প্রকল্প এলাকায় বুলডোজার ও ক্রেন রাখায় মঙ্গলবারও (১০ জানুয়ারি) বিক্ষোভ করেন কয়েকশ মানুষ।
এ সময় আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন, আটক করা হয় কয়েকজনকে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলে ভেতরে ভেতরে পরিবেশের জন্য হুমকি এমন জ্বালানির সন্ধান ও উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা।
দিনা হামিদ নামে একজন বলেন, ‘যদি এই কয়লা প্রকল্প চালু হয়, তাহলে আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় অবদান রাখতে পারব না। তাই পরিবেশ রক্ষা করতেই আমাদের এ আন্দোলন।’
মায়া রোলব্যার্গ নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, তীব্র শীতে কথা ছিল সবাই ঘরেই থাকবে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে গ্রাম, বন রক্ষায় এখানে যোগ দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। সুন্দর ও নিরাপদ বিশ্ব গড়তে হলে আগামী প্রজন্মকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
লুয়েটসেরাথের কয়লাখনি থেকে কমপক্ষে ১১০ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। তবে জার্মানি এখনও বিশ্বের প্রথম ১৫টি কয়লা উৎপাদনকারী দেশ। তাই প্যারিসে সম্মত হওয়া জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কেন্দ্রীয় সরকার যথাযথ উদ্যোগ না নিলে আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা।
এই প্রতিবাদ সমাবেশের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রাজধানী বার্লিনেও বিক্ষোভ করেছেন পরিবেশবাদীরা।