ফরিদপুরে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হেলমেট পরে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিএনপির। এ সময় পুলিশসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৬ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে শহরের অম্বিকা ময়দানে এ গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর মঞ্চে বক্তব্য চলাকালে উত্তর দিকে শহীদ সূফি সড়কে এসে হামলাকারীরা একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তবে ককটেলের শব্দে প্রথমে হতচকিয়ে গেলেও দ্রুতই ঘুরে দাঁড়িয়ে পাল্টা প্রতিরোধ করে বিএনপি। এ সময় উভয়পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় সড়কে ইটের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চৌরঙ্গী মোড়ের পূর্বদিকে অবস্থান করছিল। এদিকে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় চৌরঙ্গী মোড়ের পূর্বদিকের সড়কে পুলিশের ব্যারিকেডের পিছন প্রান্ত থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ ব্যাপারে সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেটের ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়। পরে, ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে এ গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
বেলা ১১টা হতে শহরের অম্বিকা ময়দানে এ কর্মসূচি শুরুতেই জাসাসের শিল্পীদের গণসংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী এতে যোগ দেন।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা, বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ মো. আবু জাফর, নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন,মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার নাসিরুদ্দিন কালু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ আহমেদ আসলাম, রাজবাড়ীর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।