আগাম নির্বাচন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে পেরু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দারা। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সোমবার (৯ জানুয়ারি) বিক্ষোভে দুই কিশোরসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে বিক্ষোভে নিহতের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পেরুর শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা।
আল জাজিরা জানায়, সোমবার দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সান রোমান প্রদেশের জুলিয়াকা শহরের রাস্তায় আন্দোলনে নামেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় একটি বিমানবন্দর দখল করতে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। একপর্যায়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
এ সময় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। জবাবে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। স্থানীয় এক সাংবাদিক বলেন, ‘আমি আমার ক্যামেরা ধরেছিলাম। তখন একজন পুলিশ এসে আমার দিকে বন্দুক তাক করে হাঁটু গেড়ে বসে পড়তে বলল। এরপর সে আমার পায়ে একটি গুলি করে।’
পেরুর চলমান এ বিক্ষোভে দুই কিশোরসহ বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর পরই বিক্ষোভে নিহতদের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা।
পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে অভিশংসন ও গ্রেফতারের পর গেল ডিসেম্বর থেকেই উত্তাল দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন। চলমান এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে ২০২৪ সালের এপ্রিলে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পেরুতে চলমান সহিংসতা বন্ধে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে।