ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার জিনেদিন জিদানকে অসম্মান করায় বিপাকে পড়েছেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) সভাপতি নোয়েল লে গ্রেট। জিদানের পাশে দাঁড়িয়ে গ্রেটের কড়া সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে।
কাতার বিশ্বকাপের পর ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে পারেন জিদান, এমনটা গুজন শোনা গিয়েছিল অনেক দিন ধরেই। তবে ফ্রান্সকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে তুলে নিজের দায়িত্ব আরও চার বছর বাড়িয়ে নিয়েছেন দেশম। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এখন ফ্রান্স দলের দায়িত্বে থাকবেন দেশম।
ফ্রান্সের দায়িত্ব আপাতত না পাওয়ার পর জিদানকে নিয়ে নতুন গুঞ্জন শুরু হয় ব্রাজিলের দায়িত্ব নেয়ার ব্যাপারে। যদিও জিদান এই ব্যাপারে কিছু জানাননি। জিদানের ব্রাজিলের কোচ হওয়ার ব্যাপারে গুঞ্জন শোনার পর নোয়েল লে গ্রেট চটেছেন।
ফ্রান্সের আরএমসি রেডিওতে সাক্ষাৎকারে লে গ্রেট জিদানের ব্যাপারে এক লম্বা উত্তরে বলেন, ‘আমার তাতে (ব্রাজিলের কোচ) মাথাব্যথা নেই। তার যেখানে ইচ্ছা সে যেতে পারে। আমি খুব ভালো করেই জানি যে, জিদান সবসময়ই রাডারে ছিল (ফ্রান্সের সম্ভাব্য কোচ হিসেবে)। তার শুভাকাঙ্ক্ষীরও অভাব নেই। কেউ কেউ তো দেশমের বিদায়ের অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু দেশমকে নিয়ে গুরুতর আপত্তি কার থাকতে পারে? কারও নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিদানের যা ইচ্ছা করতে পারে। আমি পরোয়া করি না। তার সঙ্গে আমার কখনও দেখা হয়নি। দেশমের দায়িত্ব ছিন্ন করার কথা আমরা কখনো ভাবিইনি। জিদান যেখানে ইচ্ছা যেতে পারে, কোনো ক্লাবে বা যে কোনো জায়গায়।’
লে গ্রেটের সাক্ষাৎকার প্রচারিত হওয়ার পরই তুমুল হইচই শুরু হয় ফ্রান্সে। এফএফএফ-এর প্রেসিডেন্টের এমন উত্তর হজম হয়নি পিএসজির ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের। তার সমালোচনা করে এমবাপ্পে টুইটারে লেখেন, ‘জিদানই ফ্রান্স। তার মতো একজন কিংবদন্তিকে আমরা এভাবে অসম্মান করতে পারি না।’
এদিকে শুধু এমবাপ্পেই নয়, ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী ও সাবেক টেনিস খেলোয়াড় আমিলি ওইদেয়া-কাস্তেরাও সমালোচনা করেছেন নোয়েল লে গ্রেটের। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া সংস্থাটি নিশ্চিতভাবেই সীমা ছাড়িয়ে গেছে এখানে। খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য এটি এবং শ্রদ্ধাবোধের লজ্জাজনক ঘাটতি ফুটে উঠেছে এখানে। ফুটবল ও ক্রীড়ার একজন কিংবদন্তিকে নিয়ে এই মন্তব্য আমাদের সবাইকে আঘাত করেছে।’
এদিকে জিদানকে নিয়ে এমন মন্তব্য করায় নোয়েল লে গ্রেটকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন দেশটির রাজনীতিবিদ পিয়ের অঁগলাদে।