দীর্ঘ ১৮ বছর বিদ্যুৎ বিলে ২০ ভাগ রেয়াতি সুবিধা পাওয়ার পর লাখ লাখ টাকার বকেয়া বিলে হতবাক সিলেটের কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, কৃষি বিভাগ অর্থ পরিশোধ না করায় বকেয়া টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা হবে।
কৃষির উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একাধিকবার পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সিলেটের আলিম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলিমুছ ছাদাত চৌধুরী (এআইপি) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া না থাকলেও বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের দায়ে মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৪ সালে সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে কৃষিভিত্তিক শিল্পে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের ২০ শতাংশ হারে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হয়। সেই হিসেবে পোল্ট্রি, ডেইরি, কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাণ শিল্পে এ সুবিধা দেয়া হচ্ছিল। দীর্ঘ ১৮ বছর এ সুবিধা পেলেও গত বছরের নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, অর্থ ও কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষিভিত্তিক ও পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিলের রেয়াতি সুবিধা পাওয়া ২০ শতাংশ না দেয়ায় বিদ্যুৎ বিলের শতভাগ সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা হবে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল কাদির জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় অর্থ না দেয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এ সিদ্ধান্তে হতবাক পোল্ট্রি, ডেইরি, কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাণ শিল্পের মালিকরা বিভাগীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ জানান, বিভাগীয় কমিশনার কৃষি, অর্থ ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি আলিমুল এহছান চৌধুরী বিষয়টি পুনঃবিবেচনার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দাবি জানান।
রেয়াতি সুবিধার আওতায় সারা দেশে চার শতাধিক কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২২২ কোটি টাকা পাওনা রয়ে গেছে।