পর্যটন মৌসুমে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটের জাফলং দেশ-বিদেশের পর্যটক দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। তীব্র শীতেও ঢল নেমেছে দেশের অন্যতম এ পর্যটন কেন্দ্রে।
শুধু জাফলং নয়, সিলেট অঞ্চলের সব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আনাগোনায় দু’বছরের ক্ষতির পর সুবাতাস বইছে পর্যটনশিল্পে। জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যটন স্পটের গুরুত্বপূর্ণ সবকটি পয়েন্টে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় পুলিশের একাধিক টিমের টহলও চোখে পড়ে।
জানা গেছে, সিলেট থেকে সড়ক পথে জাফলংয়ের দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার। মেঘালয়ের বিশাল খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় থেকে নেমে আসা শীতল পানির স্পর্শে শিহরিত হতে দলে দলে পর্যটকরা ছুটে আসছেন জাফলংয়ে। শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে কুয়াশায় ঢাকা থাকে জাফলং। মনোরম সৌন্দর্যের জাফলংয়ে এসে পর্যটকরা প্রকৃতিকে ছুঁয়ে মুগ্ধ।
স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের জিরো পয়েন্টে যাওয়ার জন্য সিঁড়ি বানিয়ে দিয়েছে। বসার জায়গা ও ওয়াশরুম স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে। বেড়াতে আসা পর্যটকরা চাচ্ছেন আরও সুবিধা।
ঢাকা থেকে গেছেন পর্যটক দম্পতি আমিনা রাসেল; তারা জানান, জাফলং আগেও এসেছি আজও আসছি। খুব ভালো এখানকার পরিবেশ প্রকৃতি। এখানকার প্রকৃতি যেন মন ছুঁয়ে যায়।
দিনাজপুর থেকে যাওয়া শিউলী জানান, পাহাড় টিলা সবুজের সমারোহ, স্বচ্ছ জলরাশি, দিগন্তজোড়া নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলি পর্যটকদের হৃদয়ে বাড়তি আনন্দের খোরাক জোগায়। সরকারি উদ্যোগে জাফলংকে দ্রুত পর্যটন অবকাঠামোগত উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসা হলে জাফলং থেকে প্রতি বছর সরকার প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্টহাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের দাবি, আলাদা পর্যটন মন্ত্রণালয় করার গেলে এই শিল্পের আরও প্রসার ঘটবে।