বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় তুলেছেন লিওনেল মেসি। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে চলা দ্বৈরথেও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কই থামছে এই দুই কিংবদন্তির তুলনা। এবার মেসিকে ছাড়িয়ে গেলেন সিআর সেভেন। এক স্প্যানিশ সাংবাদিক দাবি করেছেন বিশ্বকাপ ফাইনালের চেয়েও আল নাসেরের রোনালদো বরণের আয়োজন দেখেছে বেশি দর্শক। সংখ্যায় যা ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি। অন্যদিকে বিশ্বকাপের ফাইনাল পুরো বিশ্বে দেখেছে ২০০ কোটি দর্শক।
১৮ ডিসেম্বর ২০২২। বিশ্বের শত কোটি মানুষের চোখ কাতারের লুসাইলে। অবসান হয় ৩৬ বছরের অপেক্ষার। মেসি ম্যাজিকে আর্জেন্টিনা ঘরে তোলে বিশ্বকাপ শিরোপা।
এবারের বিশ্বকাপকে অনেকেই একবিংশ শতাব্দীর সেরা আসর বলে আখ্যা দিচ্ছেন। আবার অনেকেই বলেছেন এটাই সর্বকালের সেরা আসর। কাতার বিশ্বকাপ পুরো বিশ্বে ঠিক কতজন দশর্ক দেখেছেন তার সঠিক কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি এখনো। আনুষ্ঠানিকভাবে ফিফাও কিছু জানায় নি। তবে ফাইনাল কত জন দেখেছেন তার একটা আংশিক ধারণা পাওয়া গেছে।
বেশ কিছু রিসার্চ ফার্মের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসেছে, আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল বিশ্বের ১৫০ কোটি দর্শক দেখেছেন। অনেকে বলছেন, সংখ্যাটা ২০০ কোটি পর্যন্ত যেতে পারে। আর এই সংখ্যা যদি ঠিক হয় তবে, লিওনেল মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত টপকে গেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
ক্যারিয়ারের খুব কঠিন একটা সময় পার করছেন সম্প্রতি। সামাজিক মাধ্যমে এসব নিয়ে অনেকেই ট্রল করছেন। যার অধিকাংশই যে মেসি ভক্ত, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে তাকে যত মানুষ অপছন্দ করে, তার চেয়েও বেশি মানুষ ভালোবাসে। তাই তো বিশ্ব মানচিত্রে পরিচিত না হলেও, যখন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের জার্সি গায়ে চড়ালেন রোনালদো সেটাও হয়ে থাকলো বিশ্ব রেকর্ড।
স্প্যানিশ সাংবাদিক পেদ্রো সেপুলভেদার দাবি, আল নাসরের রোনালদো বরণের আয়োজন পুরো বিশ্বে ৪০টি চ্যানেলে ৩০০ কোটি দর্শক দেখেছেন। যা ভেঙে দিয়েছেন অজস্র রেকর্ড। অতীতে কোনো ফুটবলারের পরিচিতি বা উন্মোচন অনুষ্ঠান কখনো এতটা সাড়া ফেলেনি, দেখেনি এত দর্শকও। অবশ্য সেই সাংবাদিক এও যোগ করেন, যদি বিশ্বকাপের ফাইনাল ৪০টি চ্যানেলে সম্প্রচার হতো তবে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা ম্যাচের ভিউয়ার্স সংখ্যাটা আরো বেশি হতো।
এদিকে আল নাসরে যোগ দিলেও, এখনো মাঠে নামা হয়নি রোনালদোর। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাওয়া দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে সৌদি লিগেও। যার কারণে আরো দুই সপ্তাহ হয়তো মাঠের বাইরেই থাকতে হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া এই ক্রীড়াবিদকে।