প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের ছেলের বৌভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রৌমারী, রাজীবপুর ও চিলমারী উপজেলার ২৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখেন শিক্ষকরা। তবে চিলমারী উপজেলার কিছু প্রতিষ্ঠান সকালে খোলা হলেও কিছুক্ষণ পর তা বন্ধ করা হয়।
রোববার (৮ জানুয়ারি) ওই তিন উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রেখে রৌমারী উপজেলা শহরে প্রতিমন্ত্রীর নিজ বাড়িতে বৌভাতের দাওয়াতে যান ওসব স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এমন কী জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারাও ওই দাওয়াতে অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজীবপুর ও চিলমারী উপজেলা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য।
প্রতিমন্ত্রীর রৌমারীর বাসভবনে তার একমাত্র ছেলে সাফায়েত বিন জাকির সৌরভের বিবাহোত্তর বৌভাত অনুষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের যেতে বলা হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা দাওয়াতে অংশ নিতে যাবেন। এজন্য রোববার পাঠদান বন্ধ ছিল। বিয়ের উপহার নিতে জন প্রতি ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিয়ের দাওয়াতে গেছেন বলে জানান। বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রচণ্ড শীতের কারণে প্রধান শিক্ষকরা তাদের ক্ষমতাবলে ছুটি দিয়েছেন। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা এমন পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষকরা বছরে তিনদিন ছুটি দিতে পারেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে তিনি সত্যতা পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
এদিকে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
চিলমারী উপজেলায় ৯৩টি, রৌমারীতে ১১৪টি এবং রাজীবপুর উপজেলায় ৫৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।