চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর জার্মানিতেও ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন ধরন। এটি গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন দেশটির চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে করোনার বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ নেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মনে চলার পরামর্শ দিয়েছে জার্মান প্রশাসন।
কোনোভাবেই পিছু ছাড়ছে না করোনাভাইরাস। কিছুদিন পরপর রূপ বদলে একের পর এক সৃষ্ট ভেরিয়েন্টের কারণে নাজেহাল পুরো বিশ্ব। এবার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের নতুন সাবলাইন এক্সবিবি১.৫ ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে নীরব তাণ্ডবের পর এ শীতেই জার্মানিসহ পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনার নতুন এ ধরন। শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের বাজেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড নেহের ও জার্মানির মহামারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হায়ো জিব গণমাধ্যমকে জানান, ওমিক্রনের নতুন ভেরিয়েন্টটি উত্তর-পূর্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঠিক যেভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে, ঠিক তেমনি জার্মানিসহ গোটা ইউরোপের জন্যই তা হুমকির।
করোনার নতুন এই ভেরিয়েন্টের কারণে উৎকণ্ঠা বাড়ছে স্থানীয়সহ প্রবাসীদের মধ্যে। তাই বুস্টার ডোজ নেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘আমরা যারা জার্মানিতে বসবাস করছি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এখানে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াসহ নানা সমস্যা বিরাজ করছে। এর মধ্যে করোনা হানা দিলে অবস্থা বেগতিক হয়ে যাবে।
আরেক প্রবাসী বলেন, জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশে করোনা পরিস্থিতি আবারও ঊর্ধ্বমুখী। তিন ডোজ টিকা নেয়া থাকলে এবং সবাই সরকার ঘোষিত নিয়মকানুন মেনে চললে পরিস্থিতি গতবারের মতো ভয়াবহতা নাও হতে পারে।
এদিকে জার্মানিজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো গেলেও দেশটির ৩০ শতাংশ মানুষ এখনো টিকার আওতায় না আসায় বিপাকে শলজ প্রশাসন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন থাকার পাশাপাশি করোনার বিধিনিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।