মামলার বাদী ডলি আক্তার জানায় তার স্বামী পঙ্গু মিলন সেখ একজন ট্রাক চালক। সড়ক দূর্ঘটনায় তার ম্বামীর দ’পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেলে তারা ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসার করার পরে আসামীরা ভুয়া একটি ডাক্তার চক্র তাদের ঢাকা থেকে বাগেরহাটে নিয়ে আসে। ভুয়া ডাক্তার চক্রটি কম টাকায় চিকিৎসা করার নামে বাগেরহাটে একটি বাসায় রেখে তাদের জিম্মি করে দফায় দফায় কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। মামলার প্রধান আসামী মো: মনিরুজ্জামান, মুকুল মোল্লা, এমাদুল হক, তুহিন চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে প্রায় তিনমাস পড়ে পঙ্গুপ্রায় রোগীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ভুয়া ডাক্তার চক্রটি তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিলে রোগী নিয়ে বাগেরহাট থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়।
আসামী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আবু সালে মোহাম্মদ ওমান জানায়, একটি ভুয়া ডাক্তার চক্র মিলন সেখ নামে ভিকটিমকে চিকিৎসার নামে অপ-চিকিৎসা দিয়ে তার পা পঙ্গু করে ফেলে। ভিকটিম পঙ্গু মিলন সেখকে বাগেরহাটের হাড়িখালি নামক স্থানে একটি বাসায় আটকে রেখে দফায় দফায় টাকা হাতিয়ে নেয়া। মিলন সেখ বিভিন্ন দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বিচার না পাওয়ায় ভুয়া ডাক্তার দলের ৪ জন সদস্যকে আসামী করে আদালতে মামলার জন্য কাগজপত্র দাখিল করলে আদালত বিষটি আমলে নিয়ে পিরোজপুর সদর থানার ওসিকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। আশা করছি ভিকটিম তার ন্যয় বিচার পাবে।