পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান বলেছেন, দেশটির সেনাবাহিনী এখনও নিরপেক্ষ নয়। তারা মুখে বলে নিরপেক্ষ অথচ পাঞ্জাবে জোর করে ক্ষমতায় বসাতে চায় পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, অনাস্থা ভোটের কোনো প্রয়োজন নেই বলে সম্প্রতি আস্থা বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা পারভেজ এলাহী। তার এমন বিবৃতির পেছনে সেনাবাহিনীর হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইমরান খান।
এর আগে পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) কমর জাভেদ বাজওয়া সম্পর্কে কথা বলার সময় ইমরান খান এবং তার দল পিটিআইয়ের বাকি সদস্যদের ‘সতর্কতা অবলম্বন করার’ পরামর্শ দেন পারভেজ এলাহী। সেই বিষয়ে ইমরান খান বলেন, ‘জেনারেল বাজওয়া সম্পর্কে তিনি তার অবস্থানে রয়েছেন এবং আমরা আমাদের অবস্থানে রয়েছি।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকলে পিটিআইপ্রধান দাবি করেন, তিনি দেশটির এস্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে কোনো যুদ্ধে যাননি। বরং তিনি দেশের জনগণের ওপর ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে দেয়ার স্বার্থে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
এদিকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দলীয়প্রধানের পদ থেকে সরানোর আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) স্থগিত করেন লাহোর হাইকোর্ট। তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির নির্বাচন কমিশন।
সংবিধানের ৬৩ (১) (পি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইমরানকে দলীয়প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার (৪ জানুয়ারি) আদালতে পিটিশন দায়ের করেন ইমরান খান। তার আবেদন গ্রহণ করে শুনানি করেন আদালত।