ভয়াবহ আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন ভারতের উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ শহরের বাসিন্দারা। পাহাড়ি শহরটির বিভিন্ন আবাসিক ভবন, হাসপাতাল ও সড়কে দেখা দিচ্ছে ফাটল। ভয়ে এলাকা ছাড়ছেন স্থানীয়রা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শহরের বিনোদনকেন্দ্রগুলো। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার (০৭ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ভারতের জোশীমঠ শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাটি সরে গিয়ে দেখা দিচ্ছে ফাটল। বিভিন্ন আবাসিক ভবন ও সড়কে এ ফাটল দেখা যাচ্ছে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পাহাড়ি এই শহরটিকে গ্রাস করেছে সীমাহীন আতঙ্ক আর ভয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ৫ শতাধিক ঘরবাড়ির দেয়াল, মেঝে এমনকি ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। যত সময় গড়াচ্ছে ফাটল বাড়ছে কিংবা নতুন নতুন জায়গায় ভাঙছে দেয়াল। ভবনের পাশাপাশি ফেটে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শহর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিনোদনকেন্দ্রগুলো।
ঘটনার কারণ জানতে প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানীদের একটি দল গঠন করা হয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে তাদের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে শহর এবং পাহাড়ের ফাটলগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র বলেন, নতুন করে অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। আগের ফাটলগুলো আরও বড় হয়েছে। ভাঙা জায়গা থেকে কাদাপানি বের হচ্ছে। এটা চিন্তার বিষয়।
এ ছাড়া শহরটির কমিউনিটি হাসপাতালে ফাটল দেখা দেয়ায় ভয়ে আছেন রোগীরা। চিকিৎসকরা বলছেন, ভর্তি থাকা রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হতে পারে।
জোশীমঠ শহরের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর ধামী। বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রশাসন বলছে, মাটি সরে যাওয়ায় দেখা দিচ্ছে এসব ফাটল।