মার্কিন গণতন্ত্রকে ধ্বংস ও নস্যাৎ করতেই ক্যাপিটল হিলে সহিংসতা চালিয়েছিল উগ্র ট্রাম্প সমর্থকরা। ক্যাপিটল হিলে হামলার দুই বছর উপলক্ষে ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় দাঙ্গায় দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার অঙ্গীকার করেন তিনি। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ১৪ জন আইন প্রয়োগকারী ও নির্বাচনী কর্মীকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানে ভূষিত করেছে ওয়াশিংটন। খবর আল জাজিরার।
নির্বাচনে হারের পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিতে ক্যাপিটল হিলে মার্কিন পার্লামেন্টে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি হামলা চালান ট্রাম্পের হাজার হাজার উগ্র সমর্থক। ভাঙচুর চালানো হয় পার্লামেন্টের আশপাশের এলাকায়ও। একপর্যায়ে পার্লামেন্টের ভেতরেও তাণ্ডব চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২০০ বছরের ইতিহাসের ন্যক্কারজনক হামলার সাক্ষী হয় বিশ্ব। সেই দাঙ্গায় পুলিশসহ পাঁচজন নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে।
ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার ২ বছর পূর্ণ হওয়ায় হামলায় হতাহতদের স্মরণ করে শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় তিনি বলেন, মার্কিন গণতন্ত্রকে ধ্বংস ও নস্যাৎ করতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইন্ধনে ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়েছিলো ট্রাম্প সমর্থকরা।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, দু’বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে নষ্ট করে দেয়ার সব ধরনের পাঁয়তারা করেছিল বিরোধীরা। তাতে জনগণ দমে যায়নি। মার্কিন নাগরিকরা আমাদের পাশে ছিল। তাই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। দাঙ্গায় জড়িত সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে। হামলায় হতাহতের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।
এদিকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ১৪ জন আইন প্রয়োগকারী ও নির্বাচন কর্মীকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানে ভূষিত করা হয়।
এদিন পার্লামেন্টের বাইরে সাবেক মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ কংগ্রেসম্যানরা জড়ো হয়ে দাঙ্গায় হতাহতদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। দোষীদের বিচার চান আগত মার্কিন নাগরিকরাও।
দু’বছর আগে, কংগ্রেসে যখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের অনুমোদন প্রক্রিয়া চলছিল, তখন কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা কংগ্রেস ভবনে ঢুকে আগ্রাসন চালিয়েছিল, মার্কিন কংগ্রেশনাল কমিটি তার তদন্ত করছে। দাঙ্গায় উসকানির মামলায় সাক্ষ্য দিতে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার সমনও জারি করেছে মার্কিন কংগ্রেসনাল কমিটি।