রাজধানী ঢাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘন কুয়াশাও। গত কয়েকদিনের তুলনায় শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে আরও বেশি ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। সকাল ১০টা বাজলেও এখনো সূর্যের দেখা মেলেনি। বাধ্য হয়েই সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
এদিকে শীতের তীব্রতার কারণে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। রাজধানী হেলথ অ্যান্ড হোপের মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক মোমেনা আক্তার পুষ্প। সকাল সাতটায় বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে বের হয়ে গাড়ি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, শীতের কারণে রাস্তায় গাড়ি নেই। দীর্ঘ সময়ে অপেক্ষা করে সিএনজি পেয়েছি।
কারওয়ানবাজারে থেকে সবজি কিনতে আসা খুচরা বিক্রেতা শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন আরও আগে বের হই। আজকে ভোর ছয়টার বাসা থেকে বের হয়েছি। কিন্তু শীতের কারণে টিকে থাকা যাচ্ছে না। অনেক শীত। গতকাল শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা হতে পারে। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা হতে পারে।
একই সঙ্গে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।