ঠাকুরগাঁওয়ে ইচ্ছামতো সরকারি জমি দখল করে প্রতিষ্ঠান কিংবা বসতবাড়ি গড়ে তুলছেন একশ্রেণির সুবিধাবাদীরা। এরই মধ্যে জেলা সদরের মুন্সিরহাট, সালন্দর, ভুল্লীসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি সদরের ভুল্লী ব্রিজসংলগ্ন কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের পাশে সড়ক বিভাগের জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তুলছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শ্রমিকদের দিয়ে মহাসড়কের পাশে তড়িঘড়ি করে গড়ে তোলা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে এসব স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা বলছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ায় এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস আলীর সঙ্গে যোগসাজশে অবৈধভাবে সড়ক বিভাগের জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছেন, যা পুরোপুরি অন্যায়। বর্তমানে ওসব স্থাপনার নির্মাণকাজ চলমান। সেখানে অবৈধ দোকান নির্মাণের পর ভাড়া দেবে মর্মে অনেকের কাছে থেকে কয়েক লাখ টাকা জামানতও নিয়েছেন। শিক্ষিত মানুষ হয়ে যদি এসব কাজে লিপ্ত হয় তাহলে এলাকার অন্যরা একের পর এক জমি দখল করার সাহস পাবে। অবিলম্বে সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান তারা।
অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরির বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো ফোন রিসিভ না করলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস আলী জমি দখলের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রয়োজনের তাগিদে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে কাজ বন্ধ করা হবে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সড়ক জনপদ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী অর্জুন রায় জানান, কাজ বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তারপরও কাজ চলমান রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।