পৌষের কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ। সূর্যের দেখা না মেলায় কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে প্রকৃতি।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন।
সন্ধ্যা হলে ঘন কুয়াশার সঙ্গে নেমে আসছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। রাত যতই গভীর হয় বাড়তে থাকে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতে কষ্টে ভুগছেন তারা। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক আকবর হোসেন জানান, ‘শীতে খুব বিপদে আছি। ঠান্ডার সঙ্গে শিরশির বাতাস। হাত-পা বের করা মুশকিল। কাজে বের হতে পারছি না। খুব কষ্টে দিন পার করছি।’
জেলা শহরের রিকশাচালক আলম জানান, ‘ঠান্ডার মধ্যেও রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু থাকা যাচ্ছে না। ভাড়াও তেমন মিলছে না। রিকশা না চালিয়েও উপায় নেই। এক কথায় সব মিলে খুব সমস্যায় আছি।’
এদিকে কনকনে ঠান্ডায় জেলায় বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়া ও শিশু জেনারেল ওয়ার্ডে দ্বিগুণেরও অনেক বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান শিপন জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় রোগীর চাপও অনেক বেড়ে গেছে। চিকিৎসাসেবা দিতে অনেকটাই হিমশিম খেতে হলেও সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তুহিন জানায়, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯ উপজেলা ও তিনটি পৌরসভায় শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩৮ হাজার কম্বল দেয়া হয়েছে, যা উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।