চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় হাড় কাঁপানো শীতে শ্বাসকষ্টজনিত গত দুদিনে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) উপজেলার ও বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে দামুড়হুদা উপজেলার দেউলি গ্রামে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন একই এলাকার আবুল হোসেন (৫৯) ও ইসমাইল হোসেন (৭৪)।
সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী জানান, হিমেল বাতাস আর আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় জেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে তীব্র শীতে শ্বাসকষ্টজনিত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। সূর্যের দেখা না মেলায় দিনে ও রাতের তাপমাত্রা কমছে।
রকিবুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ও হিমেল বাতাস বইছে।
এ দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বেড়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। ঠান্ডায় রোগী ও স্বজনদের কষ্ট করে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে কয়েক গুণ বেশি রোগীর চাপ বেড়েছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২০০-২৫০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।