কথায় বলে, ‘অল্পেতে সাধ মেটে না’। কিন্তু একটি দুটি নয়, ৬০ সন্তানের বাবা হওয়ার পরও সন্তান নেয়ার সাধ মেটেনি তার, এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের এক ব্যক্তি।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সর্দার জান মোহাম্মদ খান খিলজি নামের ওই ব্যক্তির বয়স বর্তমানে ৫০ বছর। তিনি বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটার বাসিন্দা। তিন স্ত্রী রয়েছে তার। তবে এরপরও সন্তানের সংখ্যার নিরিখে প্রায় মহাভারতের যুগেই পৌঁছে গেছেন তিনি। বলা যেতে পারে, ‘অধিকন্তু ন দোষায়’, অর্থাৎ প্রয়োজনের বেশি হলেও ক্ষতি নেই- এই আপ্তবাক্যকেই ধ্রুব সত্যি বলে মেনেছেন খিলজি।
তাই জীবনে তিন সঙ্গিনী আর ৬০ সন্তান থাকার পরও মন ভরেনি তার। বরং ৬০তম সন্তানকে পৃথিবীতে আনার পরেও সর্দার জান মোহাম্মদ খান খিলজি সাফ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও সন্তান নিতে চান তিনি। আর সেজন্য নতুন মা অর্থাৎ চতুর্থ স্ত্রী খুঁজতেও আগ্রহী তিনি।
পেশায় চিকিৎসক ওই ব্যক্তি বড় পরিবার থাকার কারণেই এলাকায় বেশ সুপরিচিত। সম্প্রতি ৬০তম সন্তান হাজি খুশহাল খানের জন্মসংবাদও সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সবার কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, তার সম্ভাব্য নতুন স্ত্রী খোঁজার জন্য।
পাকিস্তানে কোনো পুরুষের একাধিক বিয়ে করা সামাজিকভাবেই স্বীকৃত। ফলে তিনজন স্ত্রী থাকা সেখানে নতুন কিছু নয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে আর কিছু না হোক, আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করেও ছোট পরিবারকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন অনেকে। সেখানে খিলজির এতো সন্তানের জন্ম দেয়ার ঘটনাটি রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে।