রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ আর তীব্র শীত উপেক্ষা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গ্যাসের মজুত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি কমেছে জ্বালানি তেলের দামও। বুধবার (৪ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ইইউর বিশেষ মুখপাত্র টিম ম্যাকফি প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোচ্চ মজুতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাশিয়া থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পর জার্মানিসহ গোটা ইউরোপে শীত মৌসুমে শিল্পকারখানাসহ ঘরবাড়িতে গ্যাস সংকটের আশঙ্কা দেখা দেয়। এরপরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানি শুরু করে ইইউ। অবশেষে তার সুফল মিলেছে।
কয়েক মাসে আগে জ্বালানি শক্তির তীব্র অভাবে ধুঁকতে থাকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বুধবার জানিয়েছে, নানামুখী সংকটের মধ্যেও গ্যাসের মজুত গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইইউর ২৭ দেশের সমন্বয়ে নির্মিত এলএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের মজুত আছে প্রায় ৮৩ শতাংশ।
ইইউর বিশেষ মুখপাত্র টিম ম্যাকফি বলেন, পুরো বছরজুড়েই আমাদের তীব্র জ্বালানি সংকটে ভুগতে হয়েছে। কিন্তু আমরা বসে ছিলাম না। চেষ্টা করেছি পুরো ইউরোপের চাহিদা পূরণ করে গ্যাসের সর্বোচ্চ মজুত নিশ্চিত করতে। বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে তা নতুন বছরের জন্য কাজে আসবে।
এদিকে গ্যাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দামও। বুধবার আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে ব্রেন্ড ক্রুড ব্যারেল প্রতি বিক্রি হয়েছে ৮০ দশমিক ২২ ডলারে, যা বিগত কয়েক দিনের তুলনায় সর্বনিম্ন।