আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে ভাবছে না দল। তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আন্দোলন করারও প্রয়োজনীয়তা দেখা হচ্ছে না। সম্প্রতি সময় সংবাদকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ভোট পাব না; এই ভয়ে বিএনপি নির্বাচন থেকে দূরে সরে থাকে। এর দায়-দায়িত্ব কী আওয়ামী লীগ সরকারের, এর দায়-দায়িত্ব কী আওয়ামী লীগের। নিশ্চই বাংলাদেশের মানুষ এ দায়-দায়িত্ব আমাদের ঘাড়ে চাপাবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ জানে, কারা নির্বাচনে আসতে চায়, কারা নির্বাচনে আসতে চায় না। বিএনপি যদি সত্যিকার অর্থে তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে সেক্ষত্রে আমাদের কোনো মাথাব্যথা ছিল না কখনও, এখনও নেই। আমাদের মাথাব্যথা তখনই হয় যখনই তারা শান্তির পথ ছেড়ে অগ্নিসন্ত্রাসের পথে হাঁটে, যখনই তারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে দেশের জনগণই বিএনপি-জামায়াতকে জবাব দেবে। সব দলেরই রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে। তবে দেশবিরোধী আন্দোলন করলে ছাড় দেবে না জনগণ। আগামী নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে তাদের পরাজিত করার কথা জানান।
এদিকে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন ঠেকাতে মাঠে থাকার কথা জানিয়েছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতা।
১৪ দলের শরিকরা নেতারা আরও বলেন, নির্বাচনের আগে জোটের কলেবর বাড়বে কী না তা সময়ই বলে দেবে। তবে নির্বাচনের আগে জোটের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের দিকে নজর দিচ্ছেন তারা। বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায় সভা সমাবেশের মধ্যে দিয়ে তৃণমূলে বার্তা দিতে চায় ১৪ দল।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, জোট সম্প্রসারণের নীতিগত সিদ্ধান্ত সবসময় আমাদের ১৪ দলের ছিল। যে কোনো সমমনা দলকে শরিক করোনার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আমাদের মূল কাজটা হবে মাঠে আমরা দাঁড়াব, যে কোনো পন্থায় রাজাকার সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে।
বিএনপি রেইনবো নেশনের নামে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ ১৪ দলের।
বছরখানেক পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজপথেই আওয়ামী লীগ-বিএনপি। একদল নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার অন্যদল সরকারের উন্নয়নকে সামনে নিয়ে মাঠে সভা সমাবেশে ব্যস্ত।
আগামী ১১ জানুয়ারি ১০ দফা দাবি নিয়ে সারা দেশে গণঅবস্থান করবে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চসহ সমমনা দলগুলো। তবে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ভাবছে না আওয়ামী লীগ।