পৌষের শীতে কাঁপছে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ। দিন ও রাতে শীতের তীব্রতায় জবুথবু ছিন্নমূল মানুষরাসহ সব শ্রেণির মানুষ। ঘড়ির কাটা বেলা ১২টা অতিক্রম করলেও এখনো সূর্যের দেখা মেলেনি।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হবে ১২ দশশিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্ভাবাসে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এমন কুয়াশা আরো দু-এক দিন থাকবে। একটানা হয়তো নাও থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দূরত্ব কমায় শীত বাড়ছে।
শীত বৃদ্ধি পাওয়ায় সকালে কাঁপতে কাঁপতে স্কুলমুখী হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। নগরীর শ্রমজীবী আর পেশাজীবীরাও গায়ে মোটা কাপড় জড়িয়ে ছুটছেন গন্তব্যে।
এদিকে সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা বিরাজ করছে ৯৭ শতাংশ। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এছাড়াও কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশার কারণে বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের অনেক এলাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় মাঝারি থেকে তীব্র শীত অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহিম বলেন, শীতের তীব্রতা আরো দু-এক দিন থাকতে পারে। শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে সেটা স্থায়ী হবে না, দু-এক দিন পর হয়তো আবার পরিস্থিতি এমনই থাকবে।