ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সে আসরের আগে দুঃসংবাদ ভারতীয় শিবিরে। অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান রিশভ পন্তের বিশ্বকাপে খেলা। সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত এই ক্রিকেটারের সেরে উঠতে লাগবে বেশ খানিকটা সময়।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে দেহরাদূনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন পন্ত। কিন্তু তার চিকিৎসায় আরও গুরুত্ব দিতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দেহরাদূনে থেকে যেটা বোর্ডের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। এ কারণে বিশেষ বিমানে করে তাকে নিয়ে আসা হয়েছে মুম্বাইয়ে। বাণিজ্যিক শহরের কোকিলাবেন হাসপাতালে হবে পন্তের চিকিৎসা। এ সময় বোর্ড ও পরিবারের কাছের মানুষই শুধু তার কাছে যেতে পারবেন।
তবে মুম্বাইয়ে চিকিৎসা হলেও পন্তের অস্ত্রোপচার হবে ইংল্যান্ডে। সেটা কবে নাগাদ শুরু হবে সে বিষয়ে জানাননি চিকিৎসক। কোকিলাবেন হাসপাতালে ডক্টর পারদিওলার অধীনে চিকিৎসাধীন থাকবেন পন্ত। কিছুটা সুস্থ হলেই নেয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। চিকিৎসকরা সবুজ সংকেত দিলেই তাকে পাঠানো হবে ইংল্যান্ডে। জানিয়েছেন বিসিসিআই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘রিশভের দুই হাঁটু ও অ্যাঙ্কেলে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। তবে, কবে নাগাদ আমরা তা করাতে পারবো সেটা বলতে পারছি না। চিকিৎসক যখন জানাবেন যে সে ইংল্যান্ডে যাওয়ার মতো ফিট হয়ে উঠেছে, ঠিক তখনি আমরা তাকে পাঠিয়ে দেব। তবে, আপাতত এটুকু বলতে পারি অন্তত ৯ মাসের জন্য ছিটকে গেছেন তিনি।’
বিশ্বকাপের আগে ফিট হয়ে উঠতে পারবেন তো পন্ত? সেটা অবশ্য এখনি বলা যাচ্ছে না। তবে অন্তত আগামী জুলাই পর্যন্ত মাঠের বাইরেই থাকতে হচ্ছে তাকে। এ সময় নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজসহ আইপিএল খেলতে পারবেন না পন্ত।
১৯৮৩ সালের পর ২০১১ সালে একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাস আরও ম্লান। ২০০৭ সালে প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর একবারও শিরোপার নেই দেখা পায়নি টিম ইন্ডিয়া। সবশেষ গত বছর নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্মৃতি আরো দুঃসহ।
প্রায় একযুগ ধরে বিশ্বকাপের শিরোপা নেই ভারতীয় দলে। এ বছরই আরও একটি বিশ্বকাপের আসর বসবে ভারতে। ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে একদিনের বিশ্বকাপ। নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপের খরা কাটাতে চায় ভারত। এ জন্য দলের তারকা ক্রিকেটারদের আসন্ন আইপিএলে না খেলে সে সময় বিশ্রামে রাখার জন্য বিসিসিআইকে পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর। বোর্ডের পক্ষ ক্রিকেটারদের ইনজুরি ঝুঁকি এড়াতে কঠোর নির্দেশ দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে গম্ভীর মনে করেন এটা যথেষ্ট নয়।
গম্ভীর বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সিনিয়র ক্রিকেটাররা একাধিকবার ছুটি ও বিশ্রামে গিয়েছে। এ কারণে দলের মাঝে সংহতি গড়ে ওঠেনি। তার ফলও ভোগ করতে হয়েছে। আইপিএল প্রতি বছরই আসবে। কিন্তু বিশ্বকাপ চার বছর পর পর আসে। তাই কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো ক্রিকেটারদের আইপিএল না খেলাই উচিত বলে মনে করি আমি। এতে যদি ফ্যাঞ্চাইজিগুলোর ক্ষতি হয়, তবে হোক।’
এ বছর ক্রিকেটারদের একদিনের ক্রিকেটেই বেশি জোর দেয়া উচিত বলেই মনে করেন গম্ভীর।