ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি দীর্ঘদিন একই লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে খেলেছেন। তবে পরবর্তী সময়ে দুজনের ক্লাব ছাড়ার পর সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাটা পড়েছে কিছুটা। কিন্তু সমর্থকদের মধ্যে এই দ্বৈরথের রেশ কমেনি একটুও।
প্রায় দুই দশক ইউরোপ দাপিয়ে বেড়ানো রোনালদো ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে। এদিকে, সৌদির ক্লাবটির সঙ্গে সিআরসেভেনের চুক্তি হতেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে আল নাসরের প্রধান প্রতিপক্ষ বলে পরিচিত আল হিলাল। এমন গুঞ্জনই শোনা যাচ্ছে। যদিও ক্লাবটির তরফে এমন কোনো কথা শোনা যায়নি।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ কিছু না বললেও শোনা যাচ্ছে, আল নাসরকে পাল্টা চাপে ফেলতে তারা নাকি মেসিকে দলে নিতে পারে। আর এমন জল্পনা তৈরি হওয়ার কারণ ক্লাবের নিজস্ব দোকান। যেখানে মূলত বিক্রি হয় ক্লাবের নামাঙ্কিত বিভিন্ন স্মারক। সেই দোকানে সমর্থকদের জন্য বিক্রি হচ্ছে বিশেষ জার্সি। ১০ নম্বর সেই জার্সিতে লেখা রয়েছে মেসির নাম। ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়ও হয়েছে মেসির নাম লেখা জার্সি। অনেকেই ক্লাবের দোকান থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন মেসির ১০ নম্বর জার্সি।
রোনালদো চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় আল নাসরের শক্তি অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন সৌদি ফুটবলপ্রেমীরা। প্রধান প্রতিপক্ষ আল হিলালও সহজে ছেড়ে দেবে বলে মনে করছেন না তারা। দেশটির ফুটবল সমর্থকদের একাংশের দাবি, নিশ্চিতভাবেই আল হিলাল কর্মকর্তাদের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে। তারাও বিশ্ব ফুটবলের কোনো বড় নামকে সই করাবেন।
তাহলে মেসির নাম লেখা জার্সি কি শুধুই চমক? প্রতিপক্ষ ক্লাবের থেকে প্রচারের আলো কেড়ে নিতেই কি এই পরিকল্পনা আল হিলালের? জল্পনা চলছে। উঠছে নানা প্রশ্ন। ক্লাব কর্তৃপক্ষ মুখ না খোলায় জল্পনা আরও বাড়ছে। আল হিলাল সূত্রে শুধু জানা গেছে, তারা চুপ করে বসে নেই। পর্তুগিজ তারকাকে আটকানোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
তবে সৌদি আরবের অন্যতম বড় ফুটবল ক্লাব মেসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে শোনা যায়নি। মেসি প্যারিস ছাড়ছেন এমন কোনো খবর নেই। বিশ্বকাপ জয়ের পর নিজের শহর রোজারিওতে ছুটি কাটিয়ে মেসি পৌঁছে গেছেন প্যারিসে। শিগগিরই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের কথা রয়েছে তার।