পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে জর্জিনা রদ্রিগেজের প্রথম দেখা হয়েছিল ২০১৬ সালে। প্রথম সাক্ষাতেই মন দেয়া-নেয়া। সেই থেকে এখন অবধি টিকে আছে বিশ্বের প্রভাবশালী এ জুটির প্রণয়। যদিও তাদের বিয়েটা হবে হবে করে এতদিনেও হয়নি। এবার শোনা যাচ্ছে, সম্পর্কটা ঠিক আগের মতো নেই।
কাতার বিশ্বকাপ চলাকালে রোনালদোকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা নিয়ে পর্তুগিজ কোচকে একহাত নিয়েছিলেন বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় বাজে ফর্মের সঙ্গে লড়াইয়ের সময়টাতে সিআরসেভেনের পাশে থেকেছেন।
রোনালদোর গাড়ি প্রীতির কথা কে না জানে। আর তাই কদিন আগে ক্রিসমাসে তাকে গিফট করেছেন ব্যয়বহুল রোলস রয়েস। যে উপহার পেয়ে খুশি হতে দেখা যায় রোনালদোকেও। পরে সেই বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছেড়েছেন মডেল এ বান্ধবী।
গুঞ্জনের সূত্রপাত মূলত গাড়ি উপহারকে কেন্দ্র করেই। আর্জেন্টাইন সাংবাদিক গঞ্জালো ভাস্কোয়েজ ‘সোশ্যালাইট’ নামের একটি অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন, জর্জিনার এভাবে গাড়ি উপহার নতুন কিছুর ইঙ্গিত? রোনালদোর সঙ্গে জর্জিনার সম্পর্কে অবনতির গন্ধ পাচ্ছেন ওই সাংবাদিক।
গঞ্জালো ভাস্কোয়েজ নামের ওই সাংবাদিক আরও মন্তব্য করেন, কাতারে দুঃস্বপ্নের মতো টুর্নামেন্ট শেষে তাদের সম্পর্ক আগের অবস্থানে নেই। এমনকী বিয়ের সিদ্ধান্তটাও নাকি আরও পেছাতে পারে বলে মনে করেন ওই সাংবাদিক।
আর্জেন্টাইন সাংবাদিকের এমন মন্তব্যের পর জর্জিনা নিজের ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘যখন আমি ২২ বছর বয়সী ছিলাম, তখন ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল।’ ধারণা করা হচ্ছে ওই সাংবাদিকের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এমন পোস্ট ও ক্যাপশন জর্জিনার।
এদিকে, মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোনালদো ও জর্জিনা সোশ্য়াল মিডিয়ায় তাদের সম্পর্কের অবনতির কথা জানাচ্ছেন না ঠিকই। কিন্তু আসলে অন্য ঘটনা ঘটছে। কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় রোনালদোর পর্তুগালের। গুঞ্জন রয়েছে এরপর থেকেই সম্পর্কে ভাটার টান তাদের।
উল্লেখ্য, স্পেনের জাঁকা নামক শহরে ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন জর্জিনা রদ্রিগেজ। তার মা ছিলেন স্প্যানিশ। আর বাবা আর্জেন্টিনার নাগরিক। আর সে কারণেই আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমে বারবার আলোচনায় ওঠে আসে জর্জিনার নাম।